লখনউ, ১ অক্টোবর: হাথরাসের (Hathras Case) নির্যাতিতার ফরেনসিক রিপোর্টে মেলেনি ধর্ষণের প্রমাণ। জানালেন উত্তরপ্রদেশের পুলিশের এডিজি আইনশৃঙ্খলা প্রশান্ত কুমার (ADG Prshant Kumar)। তিনি বলেন, ফরেনসিক রিপোর্ট স্পষ্ট করে দিয়েছে যে ওই মহিলাকে ধর্ষণ করা হয়নি। তিনি আরও বলেন, "পোস্টমর্টেম রিপোর্টে বলা হয়েছে, তাঁর গলায় আঘাতের কারণে মৃত্যু হয়েছে। এফএসএল রিপোর্টে নমুনায় শুক্রাণু পাওয়া যায়নি, এই রিপোর্ট স্পষ্ট করে দিয়েছে যে কয়েকজন বিষয়টিকে বর্ণভিত্তিক উত্তেজনা ছড়িয়ে দিতে ঘুরিয়ে দিয়েছে। এ জাতীয় লোকজনকে চিহ্নিত করা হবে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
হাথরাসের নির্যাতিতাকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। এছাড়াও তাঁর জরায়ুর মেরুদণ্ডে আঘাত লাগে। অটোপসি রিপোর্টে একথা বলা হয়েছে। অটোপসি রিপোর্ট দিয়েছে দিল্লির একটি হাসপাতাল। ২০ সেপ্টেম্বর ওই হাসপাতালেই ২০ বছরের ওই যুবতি মারা যান। আরও পড়ুন: Hathras Gangrape Case: শ্বাসরোধ করা হয়েছিল হাথরাসের নির্যাতিতাকে, উল্লেখ অটোপসি রিপোর্টে
#WATCH Postmortem report says victim died due to her neck injury. FSL report hasn't found sperm in samples, making it clear that some ppl twisted the matter to stir caste-based tension. Such people will be identified & legal action will be taken: ADG Prshant Kumar on Hathras case pic.twitter.com/qMOUct7t92
— ANI UP (@ANINewsUP) October 1, 2020
১৪ সেপ্টেম্বর হাথরসে নিজের গ্রামের বাইরে মাঠে মা ও ভাইয়ের সঙ্গে ঘাস কাটতে গিয়েছিলেন ওই যুবতি। ঘাসের বোঝা নিয়ে তাঁর ভাই আগে বাড়ি চলে গেছিলেন। ঘাস কাটতে কাটতে মায়ের থেকে ওই যুবতি কিছুটা দূরে চলে যান। অভিযোগ, সেই সময় চার যুবক তাঁকে বাজরা ক্ষেতে টেনে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে। বেধড়ক মারধার করা হয়। কেটে দেওয়া হয় জিভ। পরের দিন গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে আলিগড়ের জেএন মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই মঙ্গলবার মৃত্যু হয়। গতরাতে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।