প্রতীকী ছবি(Photo Credit: Latestly.com)

সোনিপত, ৯ জুলাই: হোমওয়ার্ক করে না আনায় শিক্ষিকা বকেছিলেন, এতেই মাথা গরম হয়ে যায় ছাত্রের। রাগের মাথায় শিক্ষিকার পেটে এলোপাথাড়ি ছুরি চালানোর অভিযোগ উঠল ওই ছাত্রের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আক্রান্ত শিক্ষিকা মুকেশ কুমারী(৪৫)। ইতিমধ্যেই স্কুল কর্তৃপক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে ঘাতক ছাত্রকে আটক করেছে পুলিশ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে হরিয়ানার সোনিপতের ভিগান গ্রামের এক বেসরকারি স্কুলে।এমন ঘটনা যে কোনওদিন স্কুলে ঘটতে পারে তা ভাবতেই পারছেন না মুকেশ কুমারীর সহকর্মীরা। আরও পড়ুন-WhatsApp-এ নজর রাখছে পাক গুপ্তচর সংস্থা, ভারতীয় সেনাকে সতর্ক করল গোয়েন্দা দপ্তর

জানা গিয়েছে, টানা মাস খানেক গরমের ছুটির পর সোমবারই স্কুল খোলে। মুকেশ কুমারী নামের ওই শিক্ষিকা ক্লাসে এলে পড়ুয়াদের প্রত্যেকেই তাদের ছুটির হোমওয়ার্ক দেখায়। একাদশ শ্রেণী, আগামী বছরই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। তাই হোমওয়ার্কও ছিল অনেক। ম্যাডাম ক্লাসে আসতেই একে একে সব পড়ুয়াই তাদের হোমওয়ার্ক দেখিয়ে নেয়। এদিকে ওই ছাত্রের কোনও হেলদোল না দেখে ম্যাডাম নিজেই তার হোমওয়ার্ক সম্পর্কে জানতে চান। একমাস ছুটি পেয়েও কেন সে হোমওয়ার্ক করেনি জানতে চাইতেই ব্যাগ থেকে ছুরি বের করে মুকেশ কুমারীর পেটে চালিয়ে দেয়। পর পর তিনবার ছুরিকাঘাতে ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন ওই শিক্ষিকা। রক্তে ভরে যায় চারদিক। ততক্ষণে ক্লাসের মধ্যে চেঁচামেচি শুরু হয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে অন্য শিক্ষকরা এই ক্লাসের দিকে আসতেই দেখেন রক্তমাখা ছুরি হাতে পালাচ্ছে এক ছাত্র। তাকে কোনওরকম ধরে ফেলেন শিক্ষকদের একটি দল। এরপর আসল ঘটনা জানাজানি হতেই থানায় খবর যায়।

পুলিশ এসে প্রথমেই গুরুত আহত শিক্ষিকাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করে। আহত মুকেশ কুমারীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। এদিকে পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত ছাত্রের বয়স ১৬ বছর, তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। স্কুলের প্রিন্সিপাল জানিয়েছেন, নীরজ ত্যাগী বলেছেন, ছাত্রটিকে স্কুলেই আটকে রাখা হয়েছে। পুলিশ তাকে জেরা করছে। বাকি ছাত্রদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা চলছে। হোমওয়ার্ক না করে আনা, দুর্ব্যবহার সবই করত ধৃত ছাত্র। বার বার অভিযোগ জানানো হলেও নিজেকে শুধরে নেয়নি।