Happy Republic Day 2020: ভারতবর্ষের প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে গোটা দেশের সংস্কৃতি ফুটে উঠল গুগল ডুডলের লোগোয়
ভারতবর্ষের ৭১-তম প্রজাতন্ত্র দিবস (Picture Credits: Google)

Google Doodle Celebrating Happy Republic Day 2020: আজ ভারতবর্ষের ৭১-তম প্রজাতন্ত্র দিবস (Republic Day 2020)। দেশে সংবিধান (Constitution) প্রবর্তনের স্মৃতিতে প্রতি বছর প্রজাতন্ত্র দিবস হিসেবে উদযাপন করা হয় ২৬ জানুয়ারি। ভারতে সাধারণতন্ত্র দিবস বা প্রজাতন্ত্র দিবস পালিত হয়ে আসছে ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি থেকে। স্বাধীনতা লাভের প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ হয় যুক্তরাজ্যের সংসদে ভারতীয় স্বাধীনতা আইন পাশ হওয়ার মাধ্যমে। এর ফলে ব্রিটিশ ভারত ভেঙে গিয়ে কমনওয়েলথ অফ নেশনসের অন্তর্গত অধিরাজ্য হিসেবে দু'টি স্বাধীন রাষ্ট্র ভারত ও পাকিস্তানের জন্ম হয়।

আজকের দিনে গেরুয়া, সবুজ, সাদার তিনরঙে আলোকিত হবে তাজমহল, ইন্ডিয়া গেট। বাদ নেই সার্চ ইঞ্জিন গুগলও (Google)। সিঙ্গাপুরের অতিথি চিত্রশিল্পী মেরু শেঠ ভারতের সংস্কৃতি, পরিবেশ, সমাজকে তুলে ধরেছেন ডুডলের (Doodle) মধ্যে দিয়ে। ভারতের প্রতিটি রাজ্যের শিল্প, টেক্সটাইল এবং নাচ এই ডুডলের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়। গুগল শুধু ভারতের নয়, প্রতিটি মহাদেশের বিখ্যাত দিনগুলিকে এভাবেই রাজকীয়ভাবে উদযাপন করে নেয়।

 আরও পড়ুন, প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন আপনার পরিবার, বন্ধু-বান্ধব এবং আত্মীয়-স্বজনদের পাঠিয়ে দিন এই বাংলা Messages, Facebook Greetings, WhatsApp Status, এবং SMS শুভেচ্ছাপত্রগুলি

১৫ই আগস্ট ১৯৪৭ এ দীর্ঘ স্বাধীনতা আন্দোলনের (Freedom Movement) ফলে ভারত ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্তি পায়। এই স্বাধীনতা আন্দোলনের বিশেষ বৈশিষ্ট্য ছিল মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বে পরিচালিত, প্রায় সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ অহিংস অসহযোগ আন্দোলন ও আইন অমান্য আন্দোলন। জানা যায়, ১৫ই আগস্ট ১৯৪৭ এ ভারত স্বাধীন হলেও দেশের প্রধান হিসেবে তখনও বহাল ছিলেন ষষ্ঠ জর্জ এবং লর্ড লুই মাউন্টব্যাটেন ছিলেন এর গভর্ণর জেনারেল। তখনও দেশে কোনো স্থায়ী সংবিধান ছিল না।

ঔপনিবেশিক ভারত শাসন আইনে কিছু রদবদল ঘটিয়েই দেশ শাসনের কাজ চলছিল। তারপর ১৯৪৭ সালেরভ ২৮শে অগস্ট একটি স্থায়ী সংবিধান রচনার জন্য ড্রাফটিং কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন ভীমরাও রামজি আম্বেদকর। সে বছরই ৪ঠা নভেম্বর ওই কমিটি একটি খসড়া সংবিধান প্রস্তুত করে গণপরিষদে জমা দেয়। চূড়ান্তভাবে সংবিধান গৃহীত হওয়ার আগে ২ বছর, ১১ মাস, ১৮ দিন সময়ে গণপরিষদ এই খসড়া সংবিধান আলোচনার জন্য ১৬৬ বার অধিবেশন ডাকে। এই সমস্ত অধিবেশনে জনসাধারণের প্রবেশের অধিকার ছিল। বহু বিতর্ক ও কিছু সংশোধনের পর ২৪ শে জানুয়ারি ১৯৫০ এ গণপরিষদের ৩০৮ জন সদস্য চূড়ান্ত সংবিধানের হাতে লেখা দু'টি নথিতে (একটি ইংরেজি ও অপরটি হিন্দি) স্বাক্ষর করেন। এর দু'দিন পর সারা দেশব্যাপী এই সংবিধান কার্যকর হয়।