Husband Shoots Wife Dead: মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রে (Gwalior Horror ) চাঞ্চল্যকর ঘটনা। প্রকাশ্যে দিনের আলোয় ব্যস্ত বাজার এলাকায় গোয়ালিয়রের ক্যাপ্টেন রূপ সিং স্টেডিয়ামের (Captain Roop Singh Stadium Shooting) কাছে নৃশংস খুনের ঘটনার ভিডিও দেখে চমকে উঠেছে গোটা দেশ। স্থানীয় কন্ট্রাক্টর অরবিন্দ পরিহার (Arvind Parihar) নিজের স্ত্রী নন্দিনী পরিহার (Nandini Parihar)-কে প্রকাশ্যে গুলি করে খুন করেছেন বলে অভিযোগ। স্বামীর হাতে খুন হওয়া মহিলার বয়স ৩০-এর কাছাকাছি বলে শোনা যাচ্ছে। সোশ্য়াল মিডিয়ায় বাইরাল এক ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে অরবিন্দ সরাসরি দুবার তাঁর স্ত্রী-র মাথায় গুলি করে খুন করছেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, অরবিন্দ হঠাৎই ভিড়ের মধ্যে নন্দিনীর পথ আটকায় এবং খুব কাছ থেকে একের পর এক ৪ রাউন্ড গুলি চালায়। গুলি সরাসরি মুখে লাগায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় নন্দিনীর। এই ঘটনায় এলাকাজুড়ে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
অরবিন্দ-নন্দিনী প্রেমের সম্পর্কের পর আর্য সমাজ মন্দিরে বিয়ে করেছিলেন। সূত্রের খবর, তবে কিছুদিনের মধ্যেই সম্পর্কে ফাটল ধরে এবং তারা আলাদা থাকতে শুরু করেন। আনুষ্ঠানিকভাবে বিচ্ছেদ না হলেও নন্দিনী সিরোল এলাকায় আলাদা থাকছিলেন। গত মঙ্গলবার নন্দিনী পুলিশের বড়কর্তার কাথে অফিসে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। সেখানে তিনি দাবি করেন,অরবিন্দ আসলে বিবাহিত এবং তার সন্তান রয়েছে, অথচ বিষয়টি লুকিয়ে তিনি নন্দিনীকে বিয়ে করেছিলেন। এছাড়া মাসের পর মাস তাকে হেনস্থা, প্রাণনাশের হুমকি, ভুয়ো অশ্লীল ছবি -ভিডিও ছড়ানোর অভিযোগও আনেন তিনি।
দেখুন স্ত্রী-কে স্বামীর খুনের ভিডিও
ग्वालियर, मध्य प्रदेश
पति ने बीच बाज़ार अपने शरीके हयात को गोलियों से हलक कर दिया।
पत्नी ने की थी धोखा देकर शादी करने की शिकायत। pic.twitter.com/1NbEorfZdB
— काश/if Kakvi (@KashifKakvi) September 12, 2025
নন্দিনীর অভিযোগ অনুযায়ী, অরবিন্দ একবার তার ছেলে এবং মায়ের উপর গাড়ি চালিয়ে আঘাত করারও চেষ্টা করেছিল। এইসব কারণে পূর্বে জেলেও যায় অরবিন্দ। তবে মীমাংসার নামে কিছুদিন আগে জামিনে মুক্তি পায় সে। চাঞ্চল্যকরভাবে, গুলি করার পর অরবিন্দ নন্দিনীর মৃতদেহের পাশে বসেই ফেসবুক লাইভ শুরু করে। সেখানে সে নন্দিনীর কথিত 'প্রেমিক' পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ তোলে এবং নিজেকে সাফাই দিতে থাকে।
পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছোলেও অরবিন্দ আত্মসমর্পণ করতে চায়নি। বাধ্য হয়ে টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করে তাকে কাবু করা হয়। এখন সে জেলবন্দি রয়েছে। নন্দিনীর মৃতদেহের ময়নাতদন্তে একাধিক গুলির আঘাতেই মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করা হয়েছে। অরবিন্দের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় খুনের মামলা দায়ের হয়েছে। পুলিশ তার অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র রাখার উৎসও খতিয়ে দেখছে। নন্দিনীর পরিবার ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেছে। অভিযোগ দায়ের করার পরও যদি পুলিশ সঠিক সুরক্ষা দিত, তবে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড এড়ানো যেত।