নয়াদিল্লিঃ প্রতিবেশীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। আর তাই জেনে ফেলেছিল মেয়ে(Daughter)। শুধু তাই নয় মা (Mother) এবং প্রতিবেশী কাকুর অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিয়ো দেখে সব বাবাকে জানিয়েও দেয় মেয়ে। এরপরই স্বামীকে খুন করে বসল মহিলা। ইতিমধ্যেই মহিলা ও তার প্রেমিক-সহ আরও তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে গুরুগ্রামে। মৃত ব্যক্তির নাম বিক্রম। বয়স ৩৭। বিহারের ওয়াদায় তাঁর আদি বাড়ি। কর্মসূত্রে স্ত্রী ও একমাত্র কন্যাকে নিয়ে গুরুগ্রামে থাকতেন তিনি। গত ২৮ জুলাই বিক্রমের স্ত্রী সোনী দেবী থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। স্বামী দু'দিন ধরে নিখোঁজ বলে জানান সোনী। শুধু তাই নয়, তিনি অভিযোগ জানান, গত মার্চ মাসে স্বামীর বাড়িতে না থাকার সুযোগ নিয়ে তাকে ধর্ষণ করেছিল রবীন্দ্র নামে এক প্রতিবেশী যুবক। গোটা ঘটনা ক্যামেরাবন্দিও করে রাখে রবীন্দ্র এমনটাই অভিযোগ করে সোনী। এরপরই তদন্তে নেমে রবীন্দ্রকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই আসল ঘটনা সামনে আসে।
পরকীয়ার কথা জানাজানি হতেই প্রেমিককে দিয়ে স্বামীকে খুন করাল স্ত্রী
পুলিশি জেরায় রবীন্দ্র জানায়, বিগত একবছর ধরে তার সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে রয়েছে সোনী দেবী। মাঝেমধ্যেই সোনীর বাড়িতে যেত রবীন্দ্র। তাদের বিভিন্ন ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ক্যামেরাবন্দি করে রাখাছিল। সেই ভিডিয়োই দেখে ফেলে সোনী ও বিক্রমের মেয়ে। এরপর বাবাকে সব জানায় সে। কিন্তু বিক্রম কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়ার আগেই তাঁকে খুনের পরিকল্পনা করে ফেলে সোনী ও রবীন্দ্র। ইউটিউব ঘেঁটে ফেলেন দেহ লোপাটের আদবকায়দা। এরপরই গত ২৬ জুলাই কাজ সেরে বাড়ি ফেরার পথে বিক্রমকে জোর করে গাড়িতে তোলে রবীন্দ্র ও তার সঙ্গীরা। এরপর দড়ি দিয়ে শ্বাসরোধ করে তাঁকে খুন করা হয়। খুনের পর পুঁতে দেওয়া হয় দেহ। এই খুনের সঙ্গে জড়িত রবীন্দ্রর এক কাকাও। সেই-ই দেহ লোপাটের জন্য গর্ত খুঁড়ে রেখেছিল। খুন থেকে দেহ লোপাট এই পুরো প্রক্রিয়ায় রবীন্দ্রর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ রাখে সোনী। এরপর পুলিশকে ভুল পথে চালিত করতে স্বামীর জন্য থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করতে ছোটে সে। কিন্তু তার এই কাজই পুলিশের জালে তাকে ধরা দিতে বাধ্য করে একপ্রকার।
প্রতিবেশীর সঙ্গে মাকে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তে দেখে বাবাকে বলে দিল মেয়ে, তারপর...?
Gurugram Woman's Affair Exposed By Daughter. She Kills Husband, Blames Lover https://t.co/Wq3gsy1F28 pic.twitter.com/CBxuVahsfk
— NDTV (@ndtv) August 4, 2025