গ্রেটার নয়ডায় পুত্রবধূকে খুনের ঘটনায় (Greater Noida Dowry Murder Case) গ্রেফতার আরও এক অভিযুক্ত। পুলিশের জালে নিক্কির শ্বাশুড়ি দয়াবতী। রবিবার তাঁকে গ্রেফতার করে কাসনা থানায় পুলিশ। এই নিয়ে এই ঘটনায় মোট ২ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত শনিবার গ্রেফতার করা হয়েছিল মৃতের স্বামী বিপিনকে। আহত অবস্থায় বর্তমানে সে হাসপাতালে ভর্তি। এখনও এই ঘটনায় আরও দুই মূল অভিযুক্ত পলাতক। তাঁদের খোঁজে চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। অন্যদিকে, গতকালই নিক্কির দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। সেই রিপোর্ট হাতে আসলেই বোঝা যাবে তাঁর মৃত্যুর আসল কারণ।
পূর্বপরিকল্পিত খুন
গ্রেফতারির পর অভিযুক্ত বিপিন ভাটির দাবি ছিল স্ত্রীকে সে খুন করেনি, সে আত্মহত্যা করেছে। তাঁকে ইচ্ছাকৃতভাবে ফাঁসানো হচ্ছে। এমনকি খুনের ঘটনাকে আত্মহত্যা প্রমাণ করার জন্য ঘটনার কিছুক্ষণ আগে নিক্কি সামাজিক মাধ্যমে রহস্যজনক পোস্টও করেছিল। তবে তাঁর সমস্ত পরিকল্পনা ভেস্তে যায় ভাইরাল হওয়া ভিডিয়ো থেকে। ভিডিয়োটি করেছিল নিক্কির দিদি কাঞ্জন। এমনকী ঘটনার পর পুলিশের কাছে মৃতের ছেলে বয়ান দেয় মায়ের মৃত্যুর জন্য বাবা, জেঠু, ঠাকুমা ও দাদুই দায়ী।
গ্রেটার নয়ডায় পণের দাবিতে খুন
ঘটনার পর মৃতের বাবার প্রতিক্রিয়া, “পুলিশ দ্রুততার সঙ্গে কাজ করছে। আমরা তাঁদের কাছে আপাতত সন্তুষ্ট। তবে যাঁরা আমার মেয়েকে মেরেছে তাঁদের আমরা ফাঁসি চাই”। প্রসঙ্গত, গত শনিবার গ্রেটার নয়ডার সিরসা গ্রামে পণের দাবিতে এক গৃহবধূকে মারধর করে জীবন্ত আগুনে পুড়িয়ে মারে তাঁর পরিবারের সদস্যরা। সোশাল মিডিয়ায় সেই ঘটনার কিছু ভিডিয়োও ভাইরাল হয়। ঘটনার পর থেকেই মহিলার শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা পলাতক রয়েছে।