Representative Image (Photo Credit: File)

Gorakhpur Shocker: উত্তরপ্রদেশে গোরক্ষপুরে চাঞ্চল্যকর ঘটনা। গোরক্ষপুর জেলার কীরাতপুর ব্লকের ভরইয়া গ্রামের বাসিন্দা এক বৃদ্ধার মৃত্যুর পরেও তাঁকে তৎক্ষণাৎ সৎকার করতে অস্বীকার করে তাঁরই বড় ছেলে। বিয়ের প্রস্তুতির অজুহাতে চার দিন মায়ের দেহ ফ্রিজে রেখে দেয় তাঁর ছেলে। ৭০ বছরের শোভা দেবী গত বুধবার, ১৯ নভেম্বর পায়ে গুরুতর অসুস্থতার জন্য বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। শোভা দেবী ও তাঁর স্বামী ভুয়াল গুপ্তা মুদিখানার ব্যবসায়ী। তাঁদের তিন ছেলে ও তিন বিবাহিত মেয়ে।

পারিবারিক বিবাদ তুঙ্গে ছিল

পরিবারিক বিবাদের জেরে বড় ছেলে তাঁদের বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এরপর স্বামী-স্ত্রী কখনও রাজঘাট, কখনও অযোধ্যা, কখনও মথুরায় ঘুরতে থাকেন। পরে এক সমাজসেবীর পরামর্শে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় জৌনপুর জেলার এক বৃদ্ধাশ্রমে। আশ্রমের মালিক রবি কুমার চৌবে তাঁদের থাকার ব্যবস্থা করেন। শোভা দেবীর মৃত্যুর পর আশ্রম কর্তৃপক্ষ তাঁর স্বামী ভুয়াল গুপ্তাকে খবর দেয়। তিনি ছোট ছেলেকে ফোন করে মায়ের মৃত্যুর কথা জানান।

দেখুন খবরটি

বাড়িতে বিয়ে , তাই মরদেহ আনলে অশুভ হবে

ছোট ছেলে ঘটনাটি জানালে বড় ছেলে জানান,বাড়িতে বিয়ের আয়োজন চলছে। এই সময়ে মৃতদেহ বাড়িতে আনলে অশুভ হবে। তাই তিনি দেহ বাড়িতে আনতে রাজি নন। অভিযোগ, বড় ছেলে আশ্রমকে বলে চার দিন দেহ ফ্রিজের ভিতর রেখে দিন, বিয়ে শেষ হলেই সৎকার করা হবে। আশ্রমের মালিক রবি কুমার চৌবে নিজে ফোন করে বড় ছেলেকে বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তাতেও লাভ হয়নি। অন্য আত্মীয়রাও দেহ দেখতে চাইলেও কেউই আশ্রমে যাননি। অবশেষে পরিবার শোভা দেবীর দেহ জৌনপুর থেকে ২০০ কিমি দূরে গোরক্ষপুরে নিয়ে আসে। হিন্দু রীতিনীতির পরোয়া না করে, বড় ছেলে শবদাহ না করে দেহটি গ্রামে মাটিচাপা দেন। পরে চার দিন পর তুলে দাহ করা হবে বলে বৃদ্ধ স্বামীকে আশ্বাস দেওয়া হয়।