Gurugram: ছোট জামা পরলেই মেয়েদের গুলি করে মারা হোক! ধর্ষণ রুখতে এমনই নিদান দিলেন গুরুগ্রামের পুলিশকর্মী
হাঁটুঝুল জামা কিংবা ছোট জামা (Short Dress) পরলে গুলি করে মেরে ফেলা হোক মেয়েদের! দেশে ক্রমাগত বেড়ে চলা ধর্ষণ ত্রাস রুখতে এমনই নিদান দিলেন গুরুগ্রামের (Gurugram) এক পুলিশকর্মী। তার বক্তব্য, মেয়েদের শরীরে কোনওরকম ট্যাটু (Tattoo) থাকা উচিত নয়। এমনকী মেয়েদের পানশালায় গিয়ে মদ্যপান (Drinks) বন্ধ করা উচিত। কারণ এসব দেখলে ছেলেরা তাঁদের প্রতি বেশি উত্তেজিত হয়ে পড়ে। তাই মেয়েদের নিজেদের এমন কাজকর্ম থেকে বিরত থাকা উচিত।
গুরুগ্রাম, ১৪ ডিসেম্বর: হাঁটুঝুল জামা কিংবা ছোট জামা (Short Dress) পরলে গুলি করে মেরে ফেলা হোক মেয়েদের! দেশে ক্রমাগত বেড়ে চলা ধর্ষণ ত্রাস রুখতে এমনই নিদান দিলেন গুরুগ্রামের (Gurugram) এক পুলিশকর্মী। তার বক্তব্য, মেয়েদের শরীরে কোনওরকম ট্যাটু (Tattoo) থাকা উচিত নয়। এমনকী মেয়েদের পানশালায় গিয়ে মদ্যপান (Drinks) বন্ধ করা উচিত। কারণ এসব দেখলে ছেলেরা তাঁদের প্রতি বেশি উত্তেজিত হয়ে পড়ে। তাই মেয়েদের নিজেদের এমন কাজকর্ম থেকে বিরত থাকা উচিত।
ওই পুলিশকর্মী (Police) আরও জানান, সম্প্রতি একটি মেয়ে তার সঙ্গে অভব্যতা করেছে। এমনকী তার পোশাক দেখেও অত্যন্ত লজ্জা পেয়ে যান তিনি। সে এমন পোশাক পড়েছিল যে তাঁর পা, স্তন, নিতম্ব সব স্পষ্ট দেখা যাচ্ছিল। পুলিশেরও তো শীত লাগে! এই ঠান্ডায় শুধু মেয়েদেরই শীত লাগে না'। এরকম মেয়েদের পরিবারকে বলছি, উপযুক্ত শিক্ষা দিতে না পারলে মেরে ফেলুন। দেশের পরিস্থিতি খুব খারাপ। মেয়েরাই জোর করে তা ডেকে আনছে। তাই মেয়েরা বাড়ি থেকে ছোট জামা পরে বেরোতে চাইলে মা-বাবারই উচিত তাকে মেরে ফেলা। নইলে পথচলতি মানুষের নজরে আসলেও তাকে গুলি করে খুন করা উচিত! মিরর নাও নিউজ ডট কমের খবর অনুযায়ী, অন ডিউটিতে তাঁর বক্তব্য, কোনও ছেলেই দৈত্য নয়। কিছু মেয়ের পোশাক-ভাবভঙ্গিই তাঁদের গণধর্ষণের দিকে ঠেলে দেয়। বাবা-মা মেয়েদের উপযুক্ত শিক্ষা দিতে পারছেন না। খাওয়া, ঘুম এবং পড়াশুনো সঠিক সময়ে করতে হয়। মেয়েরা এসব শিখছে না। আরও পড়ুন: Bharat Bachao Rally: ‘আমি রাহুল সাভারকর নই, ক্ষমা চাইব না'...রেপ ইন ইন্ডিয়া বিতর্কে সাফ জানালেন রাহুল গান্ধি
স্বাভাবিকভাবেই কর্তব্যরত অবস্থায় থাকা পুলিশকর্মীর এমন মন্তব্যে স্তম্ভিত সকলেই। দেশের সুরক্ষার (Security) ভার যাদের হাতে তাঁদেরই এমন চিন্তাধারা হলে নিরাপত্তা যে নিরাপদ নয়, তা বলাই বাহুল্য। একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়ে এমন পুরুষতান্ত্রিক মনোভাব কী আদৌ কাম্য!