ক্লাসের মধ্যে অপমান, আর সেই কারণে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন সারদা বিশ্ববিদ্যালয়ের (Sharda University) গ্রেটার নয়ডা ক্যাম্পাসের বিডিএস ছাত্রী জ্যোতি শর্মা। আর সেই কারণেই হেনস্থার শিকার হয়ে আত্মহত্যা করেছিল সে। তবে মৃত্যুর আগে সুইসাইড নোটে লিখে গিয়েছিলেন অভিযুক্ত শিক্ষকদের নাম। এই ঘটনার তদন্তে নেমে শনিবার দুজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতদের নাম মনিন্দর ও শায়রি। ঘটনাটি সামনে আসার পর এই দুজনের বিরুদ্ধে কলেজের আরও অনেক পড়ুয়া মুখ খুলেছেন। অভিযুক্তদের গ্রেফতারির দাবিতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন তাঁরা। গ্রেফতারির পর অভিযুক্তদের বহিস্কৃতও করেছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ।

শুক্রবার উদ্ধার হয় দেহ

জানা যাচ্ছে, গত শুক্রবার গ্রেটার নয়ডা ক্যাম্পাসের গার্লস হোস্টেলের একটি ঘর থেকে উদ্ধার হয় জ্যোতি শর্মার। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। তাঁরা জ্যোতিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। তারপর পুলিশ দেহটি ময়নাতদন্তের জন্যা পাঠায়। এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে চলে আসে মৃতার পরিবার। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করে। সেখানে তাঁর মানসিক পরিস্থিতির জন্য দায়ী করা হয় দুই শিক্ষককে।

গ্রেফতার ২ অভিযুক্ত

অভিযুক্তদের গৌতম বুদ্ধ নগরের নলেজ পার্ক খানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জ্যোতি চিঠিতে সে লেখেন, “পিসিপি ও ডেন্টাল মেটিরিয়াল বিভাগের দুই শিক্ষক তাঁর ওপর প্রতিনিয়ত মানসিক হেনস্থা করত। তাঁরা আমায় অপমান করত। সেই কারণে দীর্ঘদিন ধরে মানসিক চাপে রয়েছেন। তাই আজ আমি এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হচ্ছি। আমি দুঃখিত যে আমায় এই সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে। আমি চাই অভিযুক্তরা জেলবন্দি হোক”।