প্রতীকী ছবি (Photo Credits: File Photo)

কিশোরীকে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে গেল এক ব্যক্তি। তারপর দীর্ঘ দু’মাস ধরে লাগাতার ধর্ষণ করে্ গর্ভবতী করল তাঁকে। তারপর তাঁকে গর্ভপাত করিয়ে যৌন ব্যবসার মধ্যে ঢুকিয়ে রোজগার করা শুরু করল অভিযুক্ত ব্যক্তি। এক নিমেষে নাবালিকার জীবন তোলপাড় করে দিলেন পরিবারের আত্মীয়। সম্প্রতি এমনই ঘটনা ঘটেছে মহারাষ্ট্রের থানে (Thane) জেলায়। ঘটনাটি সামনে আসতেই শুরু হয় তদন্ত। নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে এক মহিলা সহ চার ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। যদিও মূল অভিযুক্ত এখনও পলাতক। সেই সঙ্গে নাবালিকাকে উদ্ধার করে পাঠানো হয়েছে হাসপাতালে।

ধর্ষণের শিকার নাবালিকা

জানা যাচ্ছে, আড়াই মাস আগে বছর ১৫-এর নাবালিকার সঙ্গে তাঁর মায়ের বচসা হয়। সম্প্রতি সে সেকেন্ডারি বোর্ডের পরীক্ষা দিয়েছিলেন। বচসার কারণে বাড়ি থেকে বেরোতেই তাঁর সঙ্গে দেখা হয় পরিবারের পরিচিত এক ব্যক্তির সঙ্গে। আসলে নাবালিকার মা খাবারের ব্যবসা করতেন এবং অভিযুক্ত ব্যক্তি তাঁকে রান্নার মশলা সাপ্লাই করতেন। সেই সূত্রে নাবালিকাও তাঁকে চিনতেন। পুলিশসত্রে খবর, নাবালিকাকে ভুল বুঝিয়ে নিজের বাড়িতে নিয়ে যায় অভিযুক্ত। সেখানে তাকে টানা দু’মাস ধরে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত।

কিশোরীকে দিয়ে দেহব্যবসা করানো হয়

এরপর সে গর্ভবতী হলে তাঁকে এক তিলকনগর থানা এলাকা ডোম্বিভালির গ্রামীণ এলাকায় একটি দম্পতির বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁর গর্ভাপাত করানো হয়। এরপর সেই বাড়িতে ওই কিশোরীকে বাধ্য করা হয় দেহব্যবসার জন্য। সম্প্রতি স্থানীয় বাসিন্দাদের সন্দেহ হয়। তারপর তাঁরাই পুলিশে খবর দেয়। অন্যদিকে দীর্ঘদিন ধরে মেয়ে বাড়িতে না ফেরায় স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতার মা।

গ্রেফতার অভিযুক্তরা

তবে তাঁর আগে অভিযুক্ত বোঝানোর চেষ্টা করে যে নাবালিকা রাগের মাথায় শহর ছেড়ে চলে গিয়েছে। এবং সে আর ফিরবে না। তারপরেও নির্যাতিতার মা মিসিং ডায়েরি করেন। এরপর তদন্তে নেমে তিলক নগর থানা এলাকায় ওই দম্পতির বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় কিশোরীকে। তারপর তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিকে এই ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।