Delhi Turned Red: রবিবার রাতের দিল্লিকে অন্যরকম দেখাল। দিওয়ালির পর এদিন রাতের দিল্লির সরকারি ভবন, ঐতিহাসিক স্মৃতিসৌধগুলির রঙ লাল হয়ে গেল। দিল্লিবাসীদের অনেকেই দেখলেন লাল রঙের আলোয় মোড়ানো লালকেল্লা, রাষ্ট্রপতি ভবন সহ বেশ নর্থ ও সাউথ ব্লকের কয়েকটি ভবন। রাষ্ট্রপতি ভবন, নর্থ-সাউথ ব্লক, লাল কেল্লা সহ দিল্লির বেশ কিছু ভবন লাল আলোয় আলোকিত হয় ডিসলেক্সিয়া সচেতনতা সপ্তাহে #GoRedForDyslexia অভিযানের অংশ হিসেবে। ডিসলেক্সিয়া সচেতনতা প্রচারের ((Dyslexia Awarness Campaign) অংশ হিসেবে রাষ্ট্রপতি ভবন ( The Rashtrapati Bhavan) থেকে লাল কেল্লা (Red Fort)-কে লাল আলোয় আলোকিত করা হয়।
ডিসলেক্সিয়া কী
ডিসলেক্সিয়া হল একটি শিক্ষাসংক্রান্ত সমস্যা, যার ফলে কোনো ব্যক্তির পড়া, লেখা বা শব্দ বুঝতে সমস্যা হয়। এটি মস্তিষ্কের একটি সাধারণ শেখার ভিন্নতা। আসলে ডিসলেক্সিয়া (Dyslexia) সাধারণ শেখার ভিন্নতা।
দেখুন কীভাবে লাল রঙের আলোয় ভেসেছে লালকেল্লা
#WATCH | Delhi: Red Fort lit up with red-coloured lights under the Dyslexia Campaign to raise awareness for Dyslexia. pic.twitter.com/CVnezn0jRc
— NewsMobile (@NewsMobileIndia) October 26, 2025
কী ধরনের সমস্যা হয়
ডিসলেক্সিয়া কোনো রোগ নয়, বরং একটি অবস্থা। মানুষ ঠিকঠাক চোখ দিয়ে দেখলেও, শব্দ বা অক্ষর সঠিকভাবে চিনতে বা পড়তে পারে না। লেখা বা পড়ার সময় অক্ষরগুলো উল্টাপাল্টা দেখা দিতে পারে। যেমন “was” কে “saw” মনে হওয়া। যাদের ডিসলেক্সিয়া থাকে, তাদের বুদ্ধিমত্তা কম নয়, কেবল পড়া-লেখার ক্ষেত্রে অন্যদের থেকে ভিন্নভাবে শেখে। সঠিক শিক্ষা পদ্ধতি, সমর্থন এবং ধৈর্যের মাধ্যমে ডিসলেক্সিয়া আক্রান্ত ব্যক্তিরা তাদের সম্ভাবনা পুরোপুরি কাজে লাগাতে পারেন।
ডিসলেক্সিয়া সচেতনা প্রচারে কীভাবে লাল রঙের আলোয় ভেসেছে রাষ্ট্রপতি ভবন
#WATCH | Delhi: Rashtrapati Bhawan, North Block and South Block lit up with red coloured lights under the Dyslexia Campaign to raise awareness for Dyslexia pic.twitter.com/OO9kG8EZlS
— ANI (@ANI) October 26, 2025
আমির খানের 'তারে জামিন পর' এই সমস্যার ওপরেই তৈরি হয়েছিল
এটি শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্ক উভয়ের মধ্যেই দেখা যায়। ২০০৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত আমির খানের তারে জামিন পার সিনেমাটা ডিসলেক্সিয়া বা শেখার অসুবিধা নিয়েই তৈরি হয়েছিল। যেখানে ছোট্ট ছেলে ঈশান আওয়াস্তির ডিসলেক্সিয়া হয়েছিল। দু:খের কথা এই সমস্যার কথা অনেকেই (এমনকী বহু শিক্ষিত মানুষ) জানেন না। তাই এই বিষয়ে সচেতনার উদ্যোগটা সত্যিই প্রশংসনীয়।