Prajwal Revanna Convicted: দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইডি দেবেগৌড়া (H. D. Deve Gowda)-র নাতি তথা প্রাক্তন সাংসদ প্রজ্জ্বল রেভান্না পরিচারিকাকে ধর্ষণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলেন। কর্ণাটকের হাসানের গান্নিকাদা গেস্ট হাউসে পরিচারিকার কাজ করা ৪৮ বছরের এক মহিলাকে যৌন হেনস্থা, তারপর তার ভিডিও করার অভিযোগ ওঠে জনতা দল সেকুলারের প্রাক্তন সাংসদ রেভান্নার বিরুদ্ধে। সেই মামলায় বেঙ্গালুরুর বিশেষ আদালতের বিচারপতি সন্তোষ গাজানন হাসানের প্রাক্তন সাংসদ রেভান্নাকে দোষী বলে ঘোষণা করলেন। তাঁর বিরুদ্ধে হাসান জেলার এক গ্রামীণ থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ৪৮ বছরের সেই মহিলা। এটাই ছিল রেভান্নার বিরুদ্ধে দায়ের করা প্রথম ধর্ষণের অভিযোগ। এরপর একটার পর একটা ধর্ষণের অভিযোগ, মামলা হতে শুরু করে জনতা দল সেকুলারের যুবনেতা তথা প্রাক্তন সাংসদ প্রজ্জ্বল রেভান্নার বিরুদ্ধে।
গত বছর বিজেপির সমর্থনে হাসান লোকসভায় প্রার্থী ছিলেন প্রজ্জ্বল রেভান্না
প্রজ্জ্বল রেভান্না একাধিক নারীকে জোর করে যৌনতায় যেতে বাধ্য করতেন এবং তার ভিডিও করে রাখতেন। সেই রকম বহু অভিযোগের পর মধ্য়ে প্রথমটিতে দোষী হলেন হাসানের প্রাক্তন সাংসদ প্রজ্জ্বল রেভান্না। যিনি গত বছর বিজেপির সমর্থনে এনডিএ প্রার্থী হয়ে হাসান থেকে হেরে গিয়েছিলেন।
ধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত প্রজ্জ্বল রেভান্না
A Special court in Bengaluru has convicted Janata Dal (Secular) leader and former MP Prajwal Revanna, in the first rape case registered against him at the Holenarasipura Rural Police Station of Hassan District. #PrajwalRevanna #Rape pic.twitter.com/fnzxJUp2Sc
— Live Law (@LiveLawIndia) August 1, 2025
বিভিন্ন সময়ে মোট ৪০০ জন মহিলাকে ধর্ষণের পর ভিডিও করে রাখেন প্রজ্জ্বল!
আগামিকাল, শনিবার জনতা দল সেকুলার-এর নেতা প্রজ্জ্বলের সাজা ঘোষণা করা হবে। প্রজ্বল রেভান্নার বিরুদ্ধে ৪০০ জন মহিলাকে ধর্ষণ করার পর ভিডিও বানানোর অভিযোগ উঠেছিল। তেমনই ধর্ষণের পর ভিডিও বানানোর এক অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হলেন জেডি(এস) নেতা। গত বছর লোকসভা নির্বাচনের আগে এইচি দেবেগৌড়ার নাতি প্রজ্জ্বলের যৌন নির্যাতন, ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে তোলপাড় পড়ে গিয়েছিল দেশজুড়ে। হাসান লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি সমর্থিক এনডিএ-এর প্রার্থী প্রজ্জ্বল রেভান্না ওই কেন্দ্রে ভোটের পরদিন ২৭ এপ্রিল জার্মানি চলে গিয়েছিলেন। প্রজ্জ্বলের বিরুদ্ধে একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ সামনে আসছিল। তার মধ্যে একটি ছিল, তিন বছর ধরে যৌন হয়রানি ও তার ভিডিও করে মহিলাকে ব্ল্যাকমেল করা। অনেক চাপে পড়ে, এক মাস পর বিদেশ থেকে দেশে ফিরতে বাধ্য হন রেভান্না। দেশে পা দিতেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।