রাঁচি, ২৭ অগাস্ট: প্রত্যাশামতই বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন চম্পাই সোরেন (Champai Soren)। হেমন্ত সোরেন জেল যাওয়ার পর যিনি ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন, ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার সেই নেতা চম্পাই সোরেন আগামী শুক্রবার রাঁচিতে বিজেপির দফতরে গিয়ে পদ্ম-শিবিরে যোগ দিচ্ছেন। দিন কয়েক আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় চম্পাই ঘোষণা করেছিলেন, অপমান সহ্য করতে না পেরে সম্মান রক্ষার্থেই তিনি ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা ছাড়ছেন। এবার তাঁর সামনে তিনটি পথ খোলা থাকছে বলে তিনি জানিয়েছিলেন। সেই তিনটি পথ হল-১) রাজনীতি থেকে সরে যাওয়া, ২) নিজের দল খোলা, ৩) বিজেপির হাত ধরা। শেষ পর্যন্ত প্রত্যাশামতই বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন ঝাড়খণ্ড বাঘ হিসেবে পরিচিত চম্পাই সোরেন। শিবু সোরেন ঘনিষ্ঠ নেতা চম্পাই তাঁর চিরকালীন রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিজেপির হাত ধরছেন।
ক মাস আগে হেমন্ত সোরেনের গ্রেফতারির পর ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পদে বসেছিলেন চম্পাই সোরেন। চলতি বছর ২ ফেব্রুয়ারি ঝাড়খণ্ডের সপ্তম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন ৬৭ বছরের জেএমএম নেতা। চম্পাইয়ের ওপর পুরোপুরি আস্থা রেখেছিলেন শিবু সোরেন পুত্র। জেল থেকে হেমন্ত সোরেন মুক্তি পাওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী পদে ফেরেন। হেমন্তের জন্য সিংহাসন ছাড়তে পাঁচ মাস ক্ষমতায় থাকার পর পদত্যাগ করেন চম্পাই। সূত্রের খবর, সেখানেই ক্ষুব্ধ হন চম্পাই। তিনি কিছুতেই মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়তে রাজি ছিলেন না। আরও পড়ুন-তিহার জেল থেকে বেরিয়ে সমর্থকদের মাঝে কেসিআর কন্যা কে কবিতা, দেখুন ভিডিয়ো
প্রসঙ্গত, চলতি বছর নভেম্বরে ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা। ঝাড়খণ্ডের বাঘ নামে পরিচিত চম্পাই সোরেন পৃথক রাজ্য ঝাড়খণ্ডের দাবিতে আন্দোলনে বড় ভূমিকা নেন। নয়ের দশকে যখন শিবু সোরেন প্রতিবাদ, বিক্ষোভ শুরু করেন ঝাড়খণ্ডের জন্য, সেই সময় চম্পাইও সেখান যোগ দেন। শিবু সোরেনের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে যোগ দেন চম্পাই সোরেন। ওই সময় থেকেই তাঁকে 'ঝাড়খণ্ড টাইগার' হিসেবে অভিহিত করা হয়। এরপর সরাইকেলা আসন থেকে জিতে বিধায়ক নির্বাচিত হন চম্পাই সোরেন।
বিজেপি সমর্থিত অর্জুন মুন্ডা সরকার ক্ষমতায় থাকার সময় প্রথমবার মন্ত্রী হন চম্পাই। ২০১০ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত মন্ত্রীত্বের গুরুত্বপূর্ণ পদ সামলেছেন চম্পাই সোরেন। ঝাড়খণ্ডে রাষ্ট্রপতি শাসনের পর হেমন্ত সোরেন সরকার গঠন করলে, চম্পাই খাদ্য এবং পরিবহণ মন্ত্রীর দায়িত্ব পান।