NCERT Logo Photo Credit: Twitter@ians_india

এবার থেকে দ্বাদশ বোর্ডের মার্কশিটে যোগ হবে নবম শ্রেণী থেকে একাদশ শ্রেণীর নম্বর, সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রকে জমা দেওয়া এক রিপোর্টে এমনটাই সুপারিশ করেছে পারখ বিভাগ (Performance Assessment, Review, and Analysis of Knowledge for Holistic Development)) যারা সামগ্রিক উন্নতির জন্য জ্ঞানের কর্মক্ষমতার মূল্যায়ন, পর্যালোচনা এবং বিশ্লেষণের জন্য এনসিইআরটি-র সঙ্গে সরাসরি যুক্ত।নবম থেকে একাদশ শ্রেণি পর্যন্ত প্রত্যেক শিক্ষার্থীর পারফরম্যান্স, অর্থাৎ তাদের পরীক্ষা এবং নিত্যদিনের ক্লাসওয়ার্কের উপর নির্ভর করবে, তাদের দ্বাদশ শ্রেণির নম্বর। উচ্চ মাধ্যমিকের নম্বরের সঙ্গে যুক্ত করা হবে ওই নম্বর। সেক্ষেত্রে নিয়মিত ক্লাসে যেতে হবে পড়ুয়াদের। তার ভিত্তিতেও দেওয়া হবে নম্বর।গত বছর ৩২টি স্কুল বোর্ডের সঙ্গে আলোচনার পর, কর্তৃপক্ষ, শিক্ষা মন্ত্রকের কাছে রিপোর্টটি (NCERT New Update( জমা দিয়েছে। তাতে স্পষ্ট বলা হয়েছে যে শিক্ষার্থীরা যদি নবম, দশম, একাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় ভাল রেজাল্ট করে এবং ক্রমাগত ক্লাসে উপস্থিত থাকে, তবে তারা অবশ্যই দ্বাদশ শ্রেণির ফলাফলে এর বিশেষ সুবিধা পাবে। আর সেই সুবিধাই হবে অতিরিক্ত নম্বর।

পারখ রিপোর্টে আছে কী? (Parakh's New Report)

শিক্ষা মন্ত্রকের কাছে জমা দেওয়া রিপোর্ট বলছে  দ্বাদশ শ্রেণির চূড়ান্ত নম্বরের সঙ্গে নবম, দশম এবং একাদশ শ্রেণিতে শিক্ষার্থীদের পারফরম্যান্স অনুযায়ী নম্বর অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। পড়ুয়াদের পারফম্যান্সের ভিত্তিতে নবম শ্রেণিতে ১৫ শতাংশ নম্বর, দশম শ্রেণিতে ২০ শতাংশ এবং একাদশ শ্রেণিতে ২৫ শতাংশ নম্বর যোগ করা হবে। আর বাকি ৪০ শতাংশ নম্বর বরাদ্দ করা হবে দ্বাদশ শ্রেণির জন্য।রিপোর্টে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, শিক্ষার্থীদের এই নম্বর আসবে শ্রেণীকক্ষের কার্যক্রম, গ্রুপ আলোচনা, প্রজেক্ট এবং শেষ পরীক্ষার উপর ভিত্তি করে। এর মধ্যে ৭০ শতাংশ নম্বর দেওয়া হবে প্রোগ্রেস কার্ড, গ্রুপে আলোচনা, প্রজেক্টের ভিত্তিতে। বাকি ৩০ শতাংশ নম্বর দেওয়া হবে পরীক্ষায় রেজাল্টের উপর ভিত্তি করে।

এনসিইআরটি দ্বারা শিক্ষা মন্ত্রকের কাছে প্রতিষ্ঠিত একটি নিয়ন্ত্রক কেন্দ্র পারখ (সম্পূর্ণ উন্নয়নের জন্য জ্ঞানের পারফরমেন্স অ্যাসেসমেন্ট, রিভিউ এবং বিশ্লেষণ)যারা এর আগেও ভারতের সমস্ত শিক্ষা বোর্ডকে জুড়ে একটি মানসম্মত মূল্যায়ন পদ্ধতির পক্ষেও পরামর্শ দিয়েছিল। এই পারখের সুপারিশেই পাঠ্যক্রমে ডেটা ম্যানেজমেন্ট, কোডিং, অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, সঙ্গীত, শিল্পকলা এবং কারুশিল্পের মতো বৃত্তিমূলক এবং দক্ষতা-ভিত্তিক বিষয়গুলি তৈরি করা হয়েছে।