Anil Ambani. (Photo CreditsX)

Anil Ambani: ব্যাঙ্ক ঋণ জালিয়াতি কাণ্ডে বড় পদক্ষেপ নিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ED। অর্থপাচারের অভিযোগে অনিল ধীরুভাই আম্বানি গ্রুপের (ADAG) বিপুল সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি। পিএমএলএ আইনের অধীনে এই অ্যাকশনকে শিল্পমহলে নজিরবিহীন বলেই মনে করা হচ্ছে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ, অনিল আম্বানির গ্রুপের কোম্পানির ৪৩টি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। বাজেয়াপ্ত হওয়া সম্পত্তির মোট মূল্য ৭,৫৪৫ কোটি টাকারও বেশি। বাজেয়াপ্ত হয়েছে অনিল আম্বানির মুম্বইয়ের বান্দ্রা পালি হিলের বিলাসবহুল সেই বাড়িও। ২০১০-২০১২ সালে ADAG-র সংস্থাগুলি দেশি-বিদেশি ব্যাঙ্ক থেকে ৪০ হাজার ১৮৫ কোটি টাকা ঋণ নেয়। অভিযোগ, তার বড় অংশ ফেরত না দিয়ে বিভিন্ন পথে ডাইভার্ট করা হয়। মোট ৫টি ব্যাঙ্ক এই ঋণকে জালি হিসাবে ঘোষণা করেছে।

অনিল আম্বানির কোম্পানির কি কি বাজেয়াপ্ত হল

প্রথম দফায় বাজেয়াপ্ত হয়েছে মোট ৪২টি সম্পত্তি। যার মূল্য প্রায় ৩ হাজার ০৮৪ কোটি টাকা

বাজেয়াপ্ত হওয়ার তালিকায় রয়েছে:

১) অনিল আম্বানির নিজস্ব বিলাসবহুল পালি হিলের বাড়ি (বান্দ্রা, মুম্বই)

২) দিল্লির রিলায়েন্স সেন্টার

৩) নবি মুম্বইয়ের ধীরুভাই আম্বানি নলেজ সিটি (DAKC)-র ১৩২ একর জমি বাজেয়াপ্ত। যার মূল্য ৪ হাজার ৪৬২.৮১ কোটি টাকা

এর পরেই বাজেয়াপ্ত সম্পত্তির মূল্য ছাড়ায় সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা।

কী অভিযোগ

২০১০-২০১২ সালে ADAG-র সংস্থাগুলি দেশি-বিদেশি ব্যাঙ্ক থেকে ৪০,১৮৫ কোটি টাকা ঋণ নেয়। অভিযোগ, তার বড় অংশ ফেরত না দিয়ে বিভিন্ন পথে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। মোট ৫টি ব্যাঙ্ক এই ঋণকে জালি হিসাবে ঘোষণা করেছে।

কোন কোন সংস্থা জড়িত বলে অভিযোগ

ক) রিলায়েন্স কমিউনিকেশনস (RCOM)

খ) রিলায়েন্স হোম ফাইন্যান্স (RHFL)

গ) রিলায়েন্স কমার্শিয়াল ফাইন্যান্স (RCFL)

ঘ) অন্যান্য ADAG প্রতিষ্ঠান

ইয়েস ব্যাঙ্ক কানেকশন

ইয়েস ব্যাঙ্কের প্রাক্তন সিইও রানা কাপুরের সঙ্গে ষড়যন্ত্রে ২ হাজার ৭০০ কোটির ক্ষতির অভিযোগ। ২০১৭-১৯ সালে RHFL-এ ২ হাজার ৯৬৫ কোটি এবং RCFL-এ ২ হাজার ০৪৫ কোটির বিনিয়োগ, পরে NPA।

কী জানাল রিলায়েন্স ইনফ্রা

রিলায়েন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার জানিয়েছে, অনিল আম্বানি সাড়ে ৩ বছর আগে বোর্ড থেকে সরে গিয়েছেন। এখন ব্যবসায়িক কার্যক্রমে কোনো তাঁর কোনও প্রভাব নেই।