Anil Ambani. (Photo CreditsX)

Anil Ambani: এক সময়ের ধনকুবের শিল্পপতি অনিল আম্বানির কোম্পানির শীর্ষ কর্তাকে গ্রেফতার করল ইডি (ED)। শুক্রবার সন্ধ্যায় রিলায়েন্স পাওয়ারের চিফ ফিনান্সিয়াল অফিসার (সিএফও) অশোক কুমার পালকে গ্রেফতার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। অর্থ পাচার প্রতিরোধ আইন (PMLA)-এর অধীনে অনিল আম্বানির শীর্ষ কর্তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অশোক পাল শুধু রিলায়েন্স পাওয়ার কোম্পানির শীর্ষকর্তা নয়, তাঁকে অনিল আম্বানির অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলেও মনে করা হয়। দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে হেফাজতে নেওয়া হয় বলে ইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

আরও বড় গ্রেফতারি নিয়ে জল্পনা

আজ, শনিবার সকালে দিল্লির বিশেষ আদালতে অশোক কুমার পালকে পেশ করা হয়। যেখানে ইডি তার রিমান্ডের আবেদন জানায়। অনিল ধীরুভাই আম্বানি (ADA) গ্রুপের বহু কোটি টাকার ব্যাঙ্ক জালিয়াতির সঙ্গে অর্থ পাচার কাণ্ডে মালিক অনিল আম্বানি ও তার কোম্পানির ভূমিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এর আওতায় রিলায়েন্স পাওয়ার, রিলায়েন্স কমিউনিকেশনস (RCOM) ও রিলায়েন্স হোম ফাইন্যান্স লিমিটেড (RHFL)-এর আর্থিক অনিয়ম রয়েছে।

দেখুন খবরটি

সিবিআই

সিবিআইয়ের দায়ের করা একাধিক এফআইআরের ভিত্তিতে ইডির এই তদন্ত চলছে। অভিযোগ রয়েছে, ২০১৭-২০১৯ আর্থিক বছরে ৪৭টি শেল কোম্পানির নামে ১৭ হাজার কোটির ঋণ মঞ্জুর করা হয়, যা পরে গ্রুপ কোম্পানিগুলিতে ফিরিয়ে আনা হয় । একে 'সার্কুলার লেন্ডিং' বলা হচ্ছে। একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হল ৩ হাজার কোটি টাকার একটি প্রতারণা, যেখানে রিলায়েন্স পাওয়ার ৫.৪ কোটি টাকা প্রদান করে একটি সংস্থাকে, যারা সৌরশক্তি কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া (SECI)-এর কাছে ₹৬৮.২ কোটির জাল গ্যারান্টি জমা দেয়।

ইডির দাবি অনুযায়ী, RHFL ও রিলায়েন্স কমার্শিয়াল ফাইন্যান্স লিমিটেড (RCFL) মোট ১২ হাজার ৫২৪ কোটি ঋণ বিতরণ করে, যার মধ্যে ৬ হাজার ৯৩১ কোটি অনাদায়ী ঋণে পরিণত হয়। এসব ঋণ প্রধানত রিলায়েন্স গ্রুপ-সম্পর্কিত সংস্থাগুলিকে দেওয়া হয়েছিল, যেখানে ব্যাংকগুলোর (যেমন ইয়েস ব্যাংক) পক্ষ থেকে যাচাই প্রক্রিয়ায় গাফিলতি ছিল। ২০২৫ সালের ২৪ জুলাই মুম্বই ও দিল্লিতে ৩৫টি স্থানে হানা দেয় ইডি। ৫০টি কোম্পানি ও ২৫ জন ব্যক্তিকে লক্ষ্য করে এই অভিযান চলে। এরপর ৫ অগাস্ট অনিল আম্বানিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়, যেখানে তিনি এই লেনদেন সম্পর্কে অবগত ছিলে না বলে দাবি করেন ও বিস্তারিত যাচাইয়ের সময় চান।