Mayurbhanj: প্রতিশ্রুতি দিয়েও বাড়ি করে দেয়নি পঞ্চায়েত, ৩ বছর ধরে শৌচাগারে থাকছেন ৭২ বছরের বৃদ্ধা
বসবাসের জন্য বাড়ি নেই তাই গত তিন বছর ধরে শৌচাগারেই থাকছেন বছর ৭২-এর বৃদ্ধা। সেখানেই তিনি রান্না করেন। রাতেও ঘুমোন। তাঁর পরিবারে ছেলে বউ ও নাতি নাতনি রয়েছে। রাতে ওই বৃদ্ধা শৌচাগারে ঘুমোতে যান, বাকিরা খোলা আকাশের নিচে দিন কাটান। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ (Odisha's Mayurbhanj) জেলার আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রামে। বৃদ্ধার নাম দ্রৌপদী বেহরা। বছর তিনেক আগে তাঁর গ্রাম কণিকার প্রশাসনিক তরফে (Kanika village administration) এই শৌচাগার তৈরি করে দেওয়া হয়। থাকার যেখানে জায়গা নেই সেখানে বেহরা পরিবারের কাছে শৌচাগার অনেকটা বিলাসিতার শামিল।
ময়ূরভঞ্জ, ১০ ডিসেম্বর: বসবাসের জন্য বাড়ি নেই তাই গত তিন বছর ধরে শৌচাগারেই থাকছেন বছর ৭২-এর বৃদ্ধা। সেখানেই তিনি রান্না করেন। রাতেও ঘুমোন। তাঁর পরিবারে ছেলে বউ ও নাতি নাতনি রয়েছে। রাতে ওই বৃদ্ধা শৌচাগারে ঘুমোতে যান, বাকিরা খোলা আকাশের নিচে দিন কাটান। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ (Odisha' s Mayurbhanj) জেলার আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রামে। বৃদ্ধার নাম দ্রৌপদী বেহরা। বছর তিনেক আগে তাঁর গ্রাম কণিকার প্রশাসনিক তরফে (Kanika Village Administration) এই শৌচাগার তৈরি করে দেওয়া হয়। থাকার যেখানে জায়গা নেই সেখানে বেহরা পরিবারের কাছে শৌচাগার অনেকটা বিলাসিতার শামিল। উপায়ন্তর না দেখে দ্রৌপদী বেহরা (Draupadi Behera) ওই শৌচাগারেই রান্নার কাজ শুরু করেছেন।
এরমধ্যে কেটে গিয়েছে তিনটি বছর, তিনি ভেবেছিলেন, গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে প্রতিশ্রুতি মতো তাঁকে একটি বাড়ি বানিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু এখনও সেই বাড়ি যে পাননি, তাই জানিয়েছেন সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে। তবে তিনি আশা করেন একদিন না একদিন তাঁর বাড়ি তৈরি হবেই। তখন নাতি পুতি ছেলে বউমাকে নিয়ে যে ভর সংসার তাঁর রয়েছে। সবাই গিয়ে উঠবেন সেই নতুন বাড়িতেষ বাহাত্তুরে চোখ নিয়ে স্বপ্ন দেখে চলেছেন দ্রৌপদী বেহরা। আরও পড়ুন-Citizenship Amendment Bill, 2019 Passed: লোকসভায় ৭ ঘণ্টা তর্কবিতর্কের পর মধ্যরাতে পাস নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ২০১৯
এই প্রসঙ্গে গ্রামের সরপঞ্চ বুধুরাম পুটিকে (Budhuram Puty) প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, দ্রোপদী বেহরা পঞ্চায়েতের তরফে থেকে বাড়ি করে দেওয়ার কথা বলে হয়েছিল। কিন্তু এখন আমার সে সাধ্য নেই। যদি সরকার তরফে সাহায্য করে কোনও প্রকল্প আসে, তাহলে সেই প্রকল্পের অধীনে প্রথম বাড়িটি পাবেন দ্রৌপদী বেহরা। সারা দেশ যখন কোটি কোটি টাকা খরচ করে নাগরিক পঞ্জী তৈরি করছে। তখন দেশের আদি বাসিন্দারা একটুকরো বাসস্থানের অভাবে মনুষ্যেতর জীবনযাপন করছে।