Hanging Representative Photo (File Image)

বেঙ্গালুরু, ২৯ অগাস্ট: নিকি ভাটির (Nikki Bhati) পর পি শিল্পা। এবার ফের পণের (Dowry Death) জন্য মৃত্যুর খবর এল। মৃত এবার তথ্য প্রযুক্তি কর্মী। পেশায় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়র পি শিল্পার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয় বেঙ্গালুরুর (Bengaluru) বিটিএম লেআউট থেকে। বিটিএম লে আউটের ঘর থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় শিল্পার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়রের মৃতদেহ উদ্ধারের পর পুলিশ সেখানে কোনও সুইসাইড নোট হাতে পায়নি।

মেয়ের মৃত্যুর পর শিল্পার বাবা জামাই প্রবীণের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। প্রবীণের পাশাপাশি শিল্পার শাশুড়ির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। প্রবীণ এবং তার মা ক্রমাগত শিল্পার উপর পণের জন্য চাপ দিত বলে মৃতের বাবার অভিযোগ। শিল্পার মৃত্যুর পর তাঁর ২ বছরের ছোট ছেলে কার্যত অনাথ হয়ে পড়েছে। ফলে জামাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে কার্যত ফুঁসে ওঠেন শিল্পার বাবা।

এফআইআরের পরপরই পুলিশ শিল্পার স্বামী এবং তাঁর শাশুড়িকে গ্রেফতার করেছে।

তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, প্রবীণ আগে বেঙ্গালুরুর হোয়াইট ফিল্ডের একটি তথ্য প্রযুক্তি সংস্থায় কাজ করত। গত বছর চাকরি চলে যায় প্রবীণের। তারপর থেকে বিটিএম লেআউটে ফুচকা বিক্রির কাজ শুরু করে প্রবীণ।

এদিকে মেয়ের বিয়ের সময় ১৫০ গ্রাম সোনা দেয় শিল্পার পরিবার। প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা খরচ করে শিল্পার বাবা, মা মেয়ের বিয়ে দেন। তবে তাতে ক্ষান্ত হয়নি প্রবীণের পরিবার। বাবা, মায়ের কাছ থেকে আরও নগদ ৫ লক্ষ টাকা নিয়ে আসতে হবে বলে শিল্পাকে বার বার চাপ দেওয়া হয়। কোনওক্রমে সেই টাকা জোগাড় করে শিল্পার বাবা প্রবীণের হাতে তুলে দেন।

ওই অতিরিক্ত ৫ লক্ষ টাকা পাওয়ার পরও প্রবীণের পরিবার ক্রমাগত শিল্পার উপর অত্যাচার চালিয়ে যায়। এমনকী শিল্পার সঙ্গে বিচ্ছে হলে, আরও বেশি পণ নিয়ে প্রবীণ দ্বিতীয় বিয়ে করবে বলে তার জানায়। ফলে তাঁর উপর স্বামী এবং শাশুড়ি অত্যাচার শুরু করে।

এদিকে প্রথম সন্তানের জন্মের ২ বছর পর শিল্পা ফের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। তা জেনেও শ্বশুরবাড়ির অত্যাচার বন্ধ হয়নি বলে শিল্পার বাবার অভিযোগ। শেষে বিটিএম লেআউটের ঘর থেকে অন্তঃসত্ত্বা শিল্পার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। যা এক কথায় মর্মান্তিক।