নতুন দিল্লি, ২৪ নভেম্বর: মহারাষ্ট্র (Maharashtra) রাজ্য রাজনীতিতে ফের নড়বড়ে অবস্থা। গতকাল এনসিপির সঙ্গে জোট বেধে বিজেপির দেবেন্দ্র ফডনবিশ (Devendra Fadnavis) দ্বিতীয়বারের জন্য মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী পদে ও উপ মুখ্যমন্ত্রী পদে এনসিপি নেতা অজিত পাওয়ার (Ajit Pawar) শপথ (Oath) নিয়েছে। এই সিদ্ধান্তকে অবৈধ ঘোষণা করে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) একযোগে আবেদন করেছে শিবসেনা (Shiv Sena), এনসিপি (NCP) এবং কংগ্রেস (Congress)। আজ জোটের দায়ের করা মামলার শুনানি শুরু হল সুপ্রিম কোর্টে। শুনানি চলছে বিচারপতি এনভি রামান্না, বিচারপতি অশোক ভূষণ এবং বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চে।সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে রাজ্যপালের, কিন্তু গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং সুপ্রিম কোর্টের রায় মাথায় রেখেই সেটা করতে হবে বলে জানিয়েছেন কপিল সিব্বল (Kapil Sibal)। ইতিমধ্যে ফ্লোর টেস্ট দেওয়ার দাবি করে শিবসেনা , এনসিপি এবং কংগ্রেস।
এই মামলায় শপথগ্রহণ বাতিল ও দ্রুত সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দেওয়ার জন্য দিন নির্ধারণের আর্জিও জানানো হয়েছে। বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দেওয়ার দিন দেরি হলে ‘ঘোড়া কেনাবেচা’র আশঙ্কা করছে বিরোধী শিবির। তাই 'হোটেল পলিটিক্স' শুরু হয়ে গিয়েছে। ঘর আগলাতে রাতেই নিজেদের বিধায়কদের হোটেলে রাখার বন্দোবস্ত করল শরদ পাওয়ারের দল। তাঁদের মুম্বইয়ের রেনেসাঁ হোটেলে রাখার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। এদিকে, নিজেদের বিধায়কদের সঙ্গে নিরন্তর যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছে কংগ্রেস।
গতকাল রাজভবনে রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারি তাঁদের শপথবাক্য পাঠ করান। ভোর ৫.৪৭ নাগাদ তন্দ্রাচ্ছন্ন মারাঠা ভূম থেকে রাষ্ট্রপতি শাসন তুলে নেওয়া হয়। যদিও ভাইপোর এই সিদ্ধান্তে তাঁর বা এনসিপির কোনও ভূমকা নেই বলে জানিয়েছেন শরদ পাওয়ার। তিনি জানিয়ে দেন, এই সিদ্ধান্ত অজিত পাওয়ারের ব্যক্তিগত। টুইটে তিনি লেখেন, "মহারাষ্ট্র সরকার গঠনে বিজেপিকে সমর্থন করার জন্য অজিত পাওয়ারের সিদ্ধান্ত তাঁর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টির (NCP) নয়। আমরা তাঁর এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন বা অনুমোদিন দিচ্ছি না। যথাসময়ে সব রেকর্ড দেওয়া হবে।"