নতুন দিল্লি, ৬ ডিসেম্বর: গতকালই ঘটেছে ভয়াবহ ঘটনাটি। ৯০ শতাংশ দগ্ধ শরীর নিয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন উন্নাওয়ের ধর্ষিতা তরুণী (Unnao rape victim)। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে (air ambulance) করে দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে এনে ভর্তি করা হয় তাঁকে। হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপারিন্টেন্ডেন্ট সুনীল গুপ্তা সংবাদমাধ্যমকে জানান, লখনউয়ের কিং জর্জেস মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটিতে প্রথমে ভর্তি ছিলেন দগ্ধ তরুণী। অবস্থা ক্রমে খারাপ হওয়ায় সফদরজঙে তাঁকে উড়িয়ে আনার সিদ্ধান্ত হয়। সেখানেই ডাক্তার শালাব কুমারের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন তিনি। নির্দিষ্ট একটি আইসিইউ তৈরি করা হয়েছে তাঁর জন্য। সফদরজং হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের প্রধান শালাব কুমার জানিয়েছেন, ক্ষত বাড়ছে দ্রুত। তরুণীর অবস্থা ক্রমেই আশঙ্কাজনক হচ্ছে আরও বেশি।
উল্লেখ্য, ২৩ বছরের ওই তরুণীর শরীরের ৯০ শতাংশই পুড়ে গিয়েছে আগুনে। ধর্ষকরা গায়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার পরে জ্বলন্ত অবস্থাতেই এক কিলোমিটারেরও বেশি পথ চিৎকার করতে করতে ছোটেন নির্যাতিতা। ওই অবস্থাতেই পথে এক জনের মোবাইল চেয়ে তা থেকে ফোন করেন পুলিশকে। তারপরে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে অগ্নিদগ্ধ নির্যাতিতাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। উত্তরপ্রদেশ পুলিশ সূত্রের খবর, যে পাঁচ জনের বিরুদ্ধে আগুন লাগানোর অভিযোগ করেছেন তরুণী, তাঁদের সকলকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আরও পড়ুন-Asha Devi On Hyderabad Vet Rape And Murder: শান্তি পেলাম, অন্তত একজন মেয়ে সুবিচার পেল, হায়দরাবাদ কাণ্ডে চার ধর্ষকের এনকাউন্টারে মুখ খুললেন নির্ভয়ার মা
পুলিশি তদন্ত কত দ্রুত, কী ভাবে এগোচ্ছে, তা বিশদে জানতে চেয়ে, জাতীয় মহিলা কমিশন রিপোর্ট চেয়েছে পুলিশের কাছে। নির্যাতিতার চিকিত্সার যাবতীয় খরচ রাজ্য সরকারই বহন করবে বলে ঘোষণা করেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। দোষীদের কঠোরতম সাজারও আশ্বাস দিয়েছেন।মার্চ মাসে উত্তরপ্রদেশের উন্নাওয়ে গণধর্ষণ করা হয়েছিল এই তরুণীকে। ধর্ষিতার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তিন জনকে গ্রেপ্তার করে। বাকি দু’জন এখনও ফেরার। গত সপ্তাহে জামিনে ছাড়া পায় অভিযুক্তরা। অপরাধীদের যোগ্য শাস্তি দেওয়ার জন্য গর্জে উঠেছিলেন এই সাহসিনী। তারই ভয়ঙ্কর পরিণতি হল ভোগ করছেন নির্যাতিতা।