নয়া দিল্লি, ২৬ জুন: শারীরিক আকর্ষণের কাছে খুন হতে হল বন্ধুত্বকে। নিজের ঘনিষ্ঠ বন্ধুকে খুন করার দায়ে আজ, দিল্লিতে গ্রেফতার করা হয় এক যুবককে। ট্রেন লাইনের ধারে ইঁটের আঘাতে বন্ধুকে খুন করার পিছনে সেই যুবকের মাথায় ছিল তাঁর স্ত্রী-র ওপর শারীরিক আকর্ষণ। বন্ধু-র স্ত্রীকে বিয়ে করতে চাওয়াতেই শেষ অবধি বন্ধুকে নির্মমভাবে খুন করল যুবক। পুরো ঘটনায় স্তম্ভিত সবাই।
গুলকেশ নামের সেই খুনি যুবক গতকাল তাঁর বন্ধু বছর ৩০-র দলবীরকে গল্প করতে ডাকে। গল্প করার ছলে দলবীরকে সে জাখিরা নামের এক রেলস্টেশনের সামনে নিয়ে যায়। সেই স্টেশনের নির্জন ট্র্যাকের সামনে ইঁট দিয়ে আঘাত করে দলবীরকে সে খুন করে। খুনের পর প্রমাণ লোপাটের চেষ্টায় গুলকেশ তাঁর বন্ধু দলবীরের মৃতদেহ ট্রেনলাইনের ওপর ফেলে দেয়। যাতে সবাই ধরে নেয় দলবীর লাইন পের হতে গিয়ে ট্রেনে চাপা পড়ে মারা গিয়েছে। দলবীর খুনের তদন্তে নেমে গুলকেশকে সন্দেহ হয় পুলিশের। পুলিশের জেরার সামনে নানাভাবে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে গিয়ে বিভ্রান্তমূলক কথা বলতে থাকে গুলকেশ। তাতে তার ওপর সন্দেহ বাড়ে পুলিশের।
গুলকেশের মোবাইল ফেন চেক করে ও কল রেকর্ড ঘেঁটে দলবীরকে হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশ নিশ্চিত হয়। জেরার শেষের দিকে খুনের কথা স্বীকার করে নেয় গুলকেশ। জেরার সে জানায় দলবীরের সুন্দরী স্ত্রী রেখা-কে (নাম পরিবর্তন করা হয়েছে) সে বিয়ে করতে চাওয়াতেই সে এই খুন করেছে। বন্ধু-র মৃত্যুর পর সে তার স্ত্রী রেখাকে বিয়ে করে ফেলতে বলে গুলকেশ জানায়। দলবীরের স্ত্রী-র ভূমিকার কথা তদন্ত করছে পুলিশ।