উপত্য়কায় সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াই ( File image | (Photo Credits: IANS)

দিল্লি, ২০ আগস্ট: যেকোনও মুহূর্তে সন্ত্রাসী হানা ঘটতে পারে। ভারতে নাশকতা চালাতে সীমান্ত পেরিয়ে ঢুকে পড়েছে চার পাকিস্তানি জঙ্গি। এদের মধ্যে একজন আবার পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর এজেন্ট। সে নাকি তিন জঙ্গিকে সঙ্গে নিয়ে আফগানিস্তানের পাসপোর্টে ভারতে প্রবেশ করেছে। এই খবর জানাজানি হতেই দেশজুড়ে চরম সতর্কতা জারি হয়েছে। রাজস্থানের সিরোহি থানায় প্রথম খবরটি আসার সঙ্গে সঙ্গেই তা আশপাশের সমস্ত থানায় জানিয়ে দেওয়া হয়। গুজরাট সীমান্তেও খবর পৌঁছেছে। এই চার জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করতে শুরু হয়েছে তল্লাশি। দেশের জনবহুল জায়গা, স্টেশন, বাজার, বিমানবন্দর, সব জায়গায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিল হতেই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান নয়াদিল্লির সঙ্গে নানারকম অসহযোগিতা দেখিয়ে আসছেন। একে একে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য থেকে শুরু করে ইসলামাবাদে অবস্থিতি ভারতীয় হাইকমিশনারকে দিল্লিতে ফেরত পাঠিয়েছেন তিনি। কোনওভাবে যখন ভারত বাগে আসছে না, তখন রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের কাছে নালিশ করতেও পিছপা হননি। বলা বাহুল্য, কোনও দেশের রাষ্ট্রপ্রধানই এই বিষয়ে ইমরান খানকে সহযোগিতার আশ্বাস তো দেননি উল্টে ভারতের সঙ্গে আলোচনায় বসে সমস্যা মিটিয়ে ফেলতে বলেছেন। শেষে ফের আর একটা পুলওয়ামা হামলার হুমকিও দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। ঠিক তার পরে পরেই ভারতে আইএসআই গুপ্তচরের অনুপ্রবেশ নিয়ে সন্দেহ দানা বেঁধেছে। নিশ্চই নাশকতা চালাতেই ছদ্ম পরিচয়ে ভারতে ঢুকে পড়েছে ওই গুপ্তচর। সঙ্গে থাকা তিন জঙ্গি সেই সম্ভাবনাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। আরও পড়ুন-উগ্র হিংসার কথা বলে অশান্তি ছড়াচ্ছে পাকিস্তান, ফোনালাপে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নালিশ করলেন নরেন্দ্র মোদি

এদিকে সম্ভাব্য নাশকতার বিষয়টি মাথায় রেকেই দেশের ভিভিন্ন প্রান্তের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলিতে চলছে চিরুনি তল্লাশি। ব্যাগ চেকিং, সন্দেহজনক কিছু নজরে পড়লেই জেরা শুরু হয়ে যাচ্ছে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বেঙ্গালুরু, গুজরাট ও রাজস্থানের বেশকিছু জায়গায় খানা তল্লাশি শুরু হয়েছে। কোনওভাবেই যাতে জঙ্গিরা নাশকতা চালাতে না পারে সেদিকে নজর রাখতেই তল্লাশি জোরদার করা হয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা, নিরাপত্তা বাহিনীকে সজাগ থাকতে বলা হয়েছে।  গতকাল আজাদ কাশ্মীরকে ভারতে ফিরিয়ে আনার কথা বলেছিলেন রাজনাথ সিং, জেনারেল  রাওয়াতও এই বিষয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়েও মুখ খোলেন। তারপরেই এই অনুপ্রবেশের ঘটনা চিন্তার বিষয় বৈকি।