নতুন দিল্লি, ৯ জানুয়ারি: নতুন বছরের (New Year) শুরু থেকেই দিল্লিতে (Delhi) ঘটে চলেছে একের পর এক আগুন লাগার ঘটনা। বছরের শুরুতেই ২ জানুয়ারির পর আজ বৃহস্পতিবার ফের দিল্লিতে ঘটল অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। দিল্লির পটপড়গঞ্জ শিল্পতালুকে এদিন একটি ছাপাখানায় আগুন লাগে ভোর রাত নাগাদ। আগুন লাগার ঘটনায় মারা গিয়েছেন ১জন। পরপর আগুন লাগার এমন ঘটনা বলতে বাধ্য করছে রাজধানী দিল্লি যেন জতুগৃহ।
এদিন আগুন (Fire) লাগে পটপড়গঞ্জ শিল্পতালুকের (Patparganj Industrial Area) এঙ্গুলফস ছাপাখানায়। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দমকলের ৩৫টি ইঞ্জিন। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কয়েক কোটি টাকা। ১ জন মারা যাওয়া ছাড়া এখনও পর্যন্ত আহত বা ভিন্ন কোনও মৃত্যুর খবর এখনও পর্যন্ত নেই। নতুন বছরের শুরুতে এনিয়ে দিল্লিতে এটি দ্বিতীয় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। গত একমাসে পরপর বেশ কয়েকটি কারখানায় লাগায় প্রশ্নের মুখে দিল্লির অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা। আজকের ঘটনায় আগুনে ঘি পড়ল। এর আগে গত বছর ৪ নভেম্বর এই এলাকায় আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। একটি চারতলা বাড়ির ছাদে থাকা কারখানায় ভয়বাহ আগুন লেগেছিল। এর আগে গত ডিসেম্বর মাসে আগুন লাগে কিরারির কাপড়ের গোডাউনে। গুরুতর জখম অবস্থায় ১০ জনকে উদ্ধার করে দমকল কর্মীরা। তাঁদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভরতি করা হয়। সেখানে ৯ জনের মৃত্যু হয়। গত ২ জানুয়ারি দিল্লির পিরাগারহি এলাকার একটি কারখানায় আগুন লাগে। আগুন লাগার জেরে ধ্বসে যায় কারখানার একটি অংশ। হঠাৎ হওয়া বিস্ফোরণের জেরে ভেঙে পড়ে একটি অংশ। যার তলায় একাধিক দমকলকর্মী-সহ বহু মানুষের আটকে পরেন। স্থানীয়দের সাহায্যে দ্রুত গতিতে চলে উদ্ধারের কাজ। আগুন লাগার ঘটনায় ১৪ জন আহত হন। যাদের মধ্যে ১৩ জন ছিলেন দমকল কর্মী। আরও পড়ুন: World Bank: ভারতের আর্থিক বৃদ্ধি থাকবে ৫ শতাংশই, পূর্বাভাস বিশ্ব ব্যাঙ্কের
দিন কয়েক আগে আগুন লেগেছিল দিল্লির (Delhi) মুণ্ডকা এলাকায়। তার আগে আনাজ মান্ডির আগুন কেড়েছিল ৪৩ জনের প্রাণ। আনাজ মান্ডিতে (Vegetable Shop) আগুন লাগা বাড়িতেই ছিল ব্যাগ তৈরির কারখানা। ছোট ছোট ঘরে ছিল আরও নানা জিনিস তৈরির কারখানা। এর আগে ১৯৯৭ সালের ১৩ জুন দিল্লিতে উপহার সিনেমার বেসমেন্টে থাকা ট্রান্সফর্মার থেকে আগুনে মৃত্যু হয়েছিল ৫৯ জনের।