নতুন দিল্লি, ২৯ নভেম্বর: চারদিন হয়ে গেল জারি কৃষক আন্দোলন (Farmers' Protest)। দিল্লিতে কৃষি বিলের বিপক্ষে এককাট্টা হয়েছেন পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশের হাজার হাজার কৃষক। দিল্লির রাজপথ দখলে পুলিশ, ব্যারিকেড, জলকামানেও আটকানো যায়নি কৃষকদের। এই আইন বাতিলের বিরুদ্ধে অটল কৃষকেরা। পুঁজিপতিদের হাতে জমি দিতে নারাজ কৃষকেরা। এরই মধ্যে কৃষকদের সঙ্গে আলোচনা করার প্রস্তাব দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেন ৩ ডিসেম্বরের মধ্যে আন্দোলনের জায়গার পরিবর্তন করলে আলোচনা করবেন। কিন্তু এই প্রস্তাবে রাজি হননি কৃষকেরা। অর্থাৎ দিল্লি-হরিয়ানা সিংঘু সীমান্তে তারা এই আন্দোলন জারি রাখবে। ফলে ছবিটা বেশ পরিষ্কার এই আন্দোলনের সময় আরও বাড়তে চলেছে।
কৃষকদের চাপে শনিবার সন্ধ্যায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানান, প্রতিবাদী কৃষকদের সঙ্গে আলোচনার জন্য প্রস্তুত ভারত.সরকার। আগামী ৩ ডিসেম্বর তাঁদের আলোচনার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী। কৃষকদের প্রতিটি সমস্যা ও দাবি নিয়ে সরকার আলোচনা করতে ইচ্ছুক বলে জানান গৃহমন্ত্রী। তবে আন্দোলনস্থল কোনোভাবেই বদলাবে না ও জানিয়ে দেন কৃষকেরা। আরও পড়ুন, কয়লা পাচার কাণ্ডে সিবিআইয়ের তল্লাশি চলাকালীন আচমকাই অসুস্থ হয়ে মৃত ইসিএলের এরিয়া সিকিওরিটি ইনচার্জ ধনঞ্জয় রায়
সীমান্তেই এদিন বিকেলে কৃষক নেতারা একটি বৈঠক করেন। সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, রাজধানীতে প্রবেশ না করে আপাতত হরিয়ানা-দিল্লি সীমান্তেই আন্দোলন চালাবেন তাঁরা। প্রতিদিন সেখানে বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা বৈঠক করে পরবর্তী কৌশল স্থির করবেন। তবে সরকারের নির্ধারিত জায়গায় তারা অবস্থান বিক্ষোভ করবে না।