থমথমে কটক (ছবিঃX)

Cuttack Violence: দুর্গাপুজোর বিসর্জনকে (Durga Idols Immersion Processions ) কেন্দ্র করে কটকের ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক হিংসার দাগ এখনও স্পষ্ট। তিনদিনের কার্ফুর মাঝে থমথমে কটকের পরিস্থিতি। এদিকে, আরও একদিন কটকে আরও একদিন বাড়ানো হল ইন্টারনেটে ওপর নিষেধাজ্ঞা (Cuttack Internet Ban )। গতকাল, রবিবার সন্ধ্য়া ৭টা থেকে ২৪ ঘণ্টার জন্য কটকে ইন্টারনেট বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিল প্রশাসন। কিন্তু এখনও সেখানকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় আরও একদিন বাড়ানো হল 'ইন্টারনেট ব্য়ান'এর মেয়াদ। আজ সোমবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে আগামিকাল, মঙ্গলবার সন্ধ্য়া ৭টা পর্যন্ত ইন্টারনেটের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। কটক পুরসভা (CMC), কটক উন্নয়ন পর্ষদ (CDA) এবং ৪২টি মৌজা এলাকা ইন্টারনেট ব্যানের আওতায় রয়েছে।

চলছে তিনদিনের কার্ফু, ভারী বুটের শব্দ থমথমে কটকের রাস্তায়

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝি আরও একবার রাজ্যবাসীর কাছে শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানালেন। এদিকে, কটকের হিংসা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নানারকম গা শিউরে ওঠা ভিডিও দেখা যাচ্ছে। কটকের হিংসায় সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার দিক ক্রমশ জোরাল হচ্ছে। এভাবে দুর্গাপুজোর বিসর্জন থেকে এত বড় একটা হিংসা ছড়িয়ে পড়ার পিছনে প্রশাসনিক ব্যর্থতার অভিযোগ উঠছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে গত শনিবার থেকে রাত ১০টা থেকে কটকের ১৩টি থানা এলাকা জুড়ে ১৪৪ ধারা কার্যকর করা হয়। তিনদিন ধরে কটকে চলছে কার্ফু। জমায়েতের ওপর পুরোপুরি নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত হিংসার সঙ্গে জড়িতে সন্দেহে ৮জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

দেখুন থমথমে কটকের পরিস্থিতি

ঠিক কী ঘটেছিল, কেন ঘটেছিল, কারা দায়ি

গত শুক্রবার রাতে দুর্গা পুজোর প্রতিমা বিসর্জনের শোভাযাত্রা চলাকালীন দার্ঘা বাজার, হাতি পুখরীর কাছে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। অভিযোগ, গভীর রাতে দুর্গাপুজোর বিসর্জনের সময় অতিরিক্ত শব্দ নিয়ে দুপক্ষের বচসা শুরু হয়। এরপর স্থানীয়রা ছাদ থেকে পাথর ও কাচের বোতল ছুঁড়ে মিছিলের ওপর হামলা চালায়। উল্টোদিক থেকেও ব্যাপক পাথর ছোড়া হয় ও বেশ কয়েকটি জায়গায় আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর দিন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (ভিএইচপির) ডাকা মোটরসাইকেল র‍্যালিতে পুলিশের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে ফের সংঘর্ষ এবং আহতের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ। যদিও ভিএইচিপি-র দাবি তারা এলাকায় শান্তি ফেরানোর কাজ করেছে। VHP-র অভিযোগ, অন্য একটি সম্প্রদায় এই হিংসা ছড়াচ্ছে। কটকের হিমংসা নিয়ে চাপে রাজ্যের বিজেপি সরকার। এখনও পর্যন্ত এই হিংসায় মোট অন্তত ৩১ জন জখম, যার মধ্যে ২৫ পুলিশকর্মীও রয়েছেন।