কলকাতা, ৭ ডিসেম্বর: শুক্রবার রাত ১১.৪০ নাগাদ দিল্লির সফদরজঙ্গ হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে উন্নাওয়ের (Unnao) নির্যাতিতার। এক বছর আগে ধর্ষণ হওয়া নির্যাতিতা (Victim) বিচার চাইতে গেলে দু’দিন আগে প্রকাশ্যে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করা হয় তাঁকে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় দিল্লির (Delhi) সফদরজঙ্গ হাসপাতালে (Safdarjung Hospital) ভর্তি করা হয়। শুক্রবার রাতে নাগাদ সফদরজঙ্গ হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। তাঁর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমুন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি (Mamata Banerjee)। শনিবার সকাল ১১.৫৫ নাগাদ নিজের টুইটার (Twitter) হ্য়ান্ডেলে একটি টুইট করেছেন মমতা। উন্নাও-এর নিগৃহীতার মৃত্যুকে উদ্দেশ্যে তিনি লিখেছেন, "দুঃখিত, নৃশংসতার কোনও সীমা নেই।"
নির্যাতিতা রাত ১১.১০ মিনিটে হৃদরোগে আক্রান্ত হন বলে জানান হাসপাতালের ‘বার্ন ও প্লাস্টিক’ ডিপার্টমেন্টের প্রধান চিকিত্সক শলভ কুমার। শেষমেশ ১১.৪০-এ তাঁর মৃত্যু হয়। নির্যাতিতা পুলিশকে বয়ান দিয়ে জানিয়েছেন, রায়বেরেলি (Rae Bareli) যাওয়ার জন্য গত বৃহস্পতিবার ভোর ৪টে নাগাদ স্টেশন পৌঁছন তিনি। এ দিন ধর্ষণ মামলার শুনানি ছিল। সেখানেই তাঁকে ধাওয়া করেছিল পাঁচ দুষ্কৃতী। যার মধ্যে ধর্ষণে ২ অভিযুক্ত শিবম ত্রিবেদী (Shivam Trivedi) এবং শুভম ত্রিবেদীও (Shubham Trivedi) ছিল। আরও পড়ুন: Unnao Rape Case: লড়াই শেষ! হাসপাতালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল অগ্নিদগ্ধ উন্নাও ধর্ষিতার
Sad. Cruelty has no limitations #Unnao pic.twitter.com/z3H59pzBB5
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) December 7, 2019
সেদিন তারা প্রথমে লাঠি দিয়ে নির্যাতিতার পায়ে সজোরে আঘাত করে। তারপর গলায় ছুরি চালায়। এরপর পেট্রোল ঢেলে গায়ে আগুন (Fire) লাগিয়ে দেওয়া হয়। আগুন লাগা অবস্থা নির্যাতিতা ছুটতে ছুটতে প্রাণ ভিক্ষা করেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের তত্পরতায় তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর বিমানে উড়িয়ে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করা হয় সফদরজঙ্গ হাসপাতালে। নির্যাতিতার শরীর ৯০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল বলে চিকিত্সকরা জানান।
গত মার্চে অভিযুক্ত শিবম এবং শুভমের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে উত্তর প্রদেশ পুলিশ। কিন্তু নির্যাতিতার অভিযোগ ঘটনার ৪ মাস পর আদালতের হস্তক্ষেপে অভিযোগ দায়ের করা হয়। পাঁচ দিন আগে জামিনে ছাড়াও পেয়ে যায় শিবম। শুভম যাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। গায়ে আগুন লাগানোর দিন সেও উপস্থিত ছিল। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদরা। তাঁর অভিযোগ, যে রাজ্য়ের পুলিশ ৪ মাস পর এফআইআর করে, সেখানে মহিলারা কতটা সুরক্ষিত, প্রশ্ন রয়েছে। এ ঘটনায় দোষীদের যথাপোযুক্ত শাস্তির আশ্বাস দিয়েছিলেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।