নয়াদিল্লিঃ স্বামী (Husband) নয়, শাশুড়ির (Mother In Law) যৌন লালসার শিকার এক তরুণী। অস্বীকার করতেই হেনস্থার শিকার গৃহবধূ (House Wife)। প্রাণে বাঁচতে পুলিশের দ্বারস্থ হন তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের আগ্রায়। স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, ২০২২ সালে গাজিপুরের লোক উপাধ্যায়ের সঙ্গে বিয়ে হয় ওই তরুণীর। প্রথম-প্রথম সব ঠিক থাকলেও এরপর শুরু হয় স্বামীর যৌন অত্যাচার। এখানেই শেষ নয়, শারীরিক সম্পর্কের জন্য জোরাজুরি শুরু করেন শাশুড়িও। অস্বীকার করতেই জুটত অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং অত্যাচার। এমঙ্কী এক বার তাঁর হাতে ব্লেড চালিয়ে দেন শাশুড়ি। ফালা-ফালা করে দেওয়া হয় তাঁর হাত। শুধু তাই নয়, স্বামী, শাশুড়ির সঙ্গে দলে যোগ দিতেন ননদও, এমনটাই অভিযোগ ওই তরুণীর। তাঁকে অর্ধনগ্ন অবস্থায় ঘরে বন্দি করে রেখে দেওয়া হয়। পণের জন্যও তাঁকে চাপ দেওয়া হত বলে জানা গিয়েছে। এই অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে বাপেরপাড়ি চলে চান ওই তরুণী। এরপর শ্বশুরবাড়ির তরফে ফের যোগাযোগ করে ফিরে আসার কথা বলা হয়। আশ্বাস দেওয়া হয়, সব মিটমাট করে নেওয়ার। তবে তা হয়নি। শ্বশুরবাড়িতে ফের নির্যাতনের শিকার হন তিনি। অবশেষে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা।