
নয়াদিল্লি, ২৪ মেঃ নতুন করে ফের মাথাচাড়া দিচ্ছে করোনা ভাইরাসের (Corona Virus) সংক্রমণ। দেশের মোট ১০টি রাজ্য ও একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে কোভিড-১৯ ফের হানা দিয়েছে। ভারতে সক্রিয় কোভিড রোগীর (Active Covid Cases) সংখ্যার নিরিখে এগিয়ে রয়েছে কেরল। কেরলে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ১৮২ জন। দক্ষিণ ভারতের আরও দুই রাজ্য- তামিলনাড়ুতে ৬৬ জন ও কর্ণাটকে ১৬ জন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা রয়েছে। মহারাষ্ট্রে ৫৬ জনের কোভিড আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল পুদুচেরিতে ১২ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি মিলেছে। গুজরাটে সক্রিয় কোভিড রোগীর সংখ্যা ১৫। জাতীয় রাজধানী এবং রাজস্থানে ৫ জন করে সক্রিয় কোভিড রোগী রয়েছে। এছাড়া পশ্চিমবঙ্গে ও ওড়িশায় একজন করে আক্রান্ত হয়েছেন। সিকিম থেকেই করোনা আক্রান্তের খবর আসছে। দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি বিচার করলে করোনা ভাইরাল নিয়ে সতর্ক হওয়ার সময়ে চলে এসেছে। শুক্রবারই দিল্লি সরকার কোভিড প্রতিরোধে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালকে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে।
সরকারি নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, হাসপাতালগুলোতে শয্যা, অক্সিজেন, ওষুধ এবং ভ্যাকসিনের পর্যাপ্ত পরিমাণ উপস্থিতি যেন থাকে। আতঙ্কিত হওয়ার মত পরিস্থিতি এখনও আসেনি। তাই জনসাধারণকে আতঙ্কিত না হয়ে বা আতঙ্ক না ছড়িয়ে সতর্ক হওয়ার জন্যে পরামর্শ দিচ্ছে সরকার। সেই সঙ্গে হাসপাতালগুলোকে কোভিড মোকাবিলায় সমস্তরকম প্রস্তুতি বাড়ানোর আহ্বান জানানো হয়েছে।
নির্দেশিকায় হাসপাতালগুলোকে 'তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ' নিতে বলা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে কোভিড-১৯ কর্মীদের রিফ্রেশার প্রশিক্ষণ পরিচালনা করা এবং ভেন্টিলেটর, বাইপ্যাপ মেশিন, অক্সিজেন কনসেনট্রেটর এবং পিএসএ ইউনিটের মতো সমস্ত জীবন রক্ষাকারী সরঞ্জাম কার্যকর এবং ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত রয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করা।
সাম্প্রতিক সময়ে সিঙ্গাপুর, হংকংয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। রীতিমত ভয় ধরাচ্ছে সেখানকার পরিস্থিতি।