নতুন দিল্লি, ১৮ এপ্রিল: দেশজুড়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক জানায়, দেশজুড়ে মোট কোভিড -১৯ (COVID-19) আক্রান্তের সংখ্যা ১৪,৩৭৮। এর মধ্যে ১১,৯০৬ জনের শরীরে করোনা সক্রিয় রয়েছে। সুস্থ হওয়া রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৯৯১। মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৮০। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত ৯৯১ জন, মৃতের সংখ্যা ৪৩। এদের মধ্যে একজনকে বিদেশে পাঠানো হয়।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুসারে, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত মহারাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৩২০, তারপরে নয়াদিল্লিতে ১,৬৪০, তামিলনাড়ু ১,২৬৭ এবং রাজস্থানে ১,১৩১। ১৭ এপ্রিল ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ (আইসিএমআর) বলেছে যে ৩,৩৫,১২৩ জন ব্যক্তির কাছ থেকে নেওয়া মোট ৩,১৮,৪৪৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল। এতে আরও বলা হয়েছে যে নমুনার সংখ্যা বেশি হওয়ায় অনেক সন্দেহভাজন রোগীর একাধিকবার পরীক্ষা করা হয়। আরও পড়ুন, দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১৩৮৩৫, মৃত ৪৫২
991 new #COVID19 cases and 43 deaths have been reported in the last 24 hours: Ministry of Health & Family Welfare https://t.co/2Qqt5u38SE
— ANI (@ANI) April 18, 2020
ভারতে ক্রমবর্ধমান কোবিড -১৯-র পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন নির্দেশ দিয়েছেন যে পিপিই, মাস্ক, ভেন্টিলেটর এবং অন্যান্য সরঞ্জাম উত্পাদনের মানকে কোনওভাবেই হ্রাস করা উচিত নয়। তিনি বৈঠকে পরামর্শ দিয়েছিলেন যে পিপিই, মাস্ক ও ভেন্টিলেটর তৈরির সময় ভালো মানের থেকে কোনও বিচ্যুতি ঘটলে নির্মাতাদের জন্য কঠোর শাস্তি নির্ধারণ করা যেতে পারে।
গতকাল স্বাস্থ্য মন্ত্রকের জয়েন্ট সেক্রেটারি লব আগরওয়াল (Lav Agarwal) বলেন, ৩ মে পর্যন্ত লকডাউন বেড়ে যাওয়ার কারণে দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই কম। নাহলে এখন যা আক্রান্ত তার দ্বিগুণ হয়ে যেত। লব আগরওয়াল বলেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতর যে শতকরা হিসেব ভারতে রয়েছে, তা অন্যান্য করোনা বিধ্বস্ত দেশগুলির তুলনায় অনেকটাই কম। লকডাউনের আগে তিনদিনেই আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে যাচ্ছিল। তবে লকডাউনে আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুন হতে ৬ দিনেরও বেশি সময় লাগছে। জাতীয় স্তরে আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণের তুলনায় কম রয়েছে ১৯ রাজ্য ও কেন্দ্রশসিত অঞ্চলে।