
দেশের করোনা পরিস্থিতি ফের চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।এবার ৫ হাজারের গণ্ডিও পার করে গেল দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। ভারতে করোনা-সংক্রমণ বেড়ে হল ৫৩৬৪। বিগত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৫,০০০ ছাড়িয়ে ৫,৩৬৪-এ পৌঁছেছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক জানিয়েছে, বিগত ২৪ ঘণ্টায় চার জন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে।মৃতদের মধ্যে একজন কেরলের, দুইজন কর্ণাটকের ও একজন পঞ্জাবের বাসিন্দা। তারা সবাই ৬৫ বছরের বেশি বয়েসের প্রবীণ রোগী ছিলেন।
একদিনে সবথেকে বেশি আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে কেরলে। একদিনে ১৯২ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এই নিয়ে রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬৭৯-এ।সংক্রমণে দ্বিতীয় স্থানেই রয়েছে গুজরাট, একদিনেই রাজ্যে ১০৭ জন করোনা আক্রান্ত হওয়ায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬১৫-এ বেড়ে দাঁড়িয়েছে। তৃতীয় স্থানে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ।পশ্চিমবঙ্গে করোনা আক্রান্তের সংখ্য়া বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৯৬-এ। গত ২৪ ঘণ্টাতেই রাজ্যে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৮ জন। এরপরেই রয়েছে দিল্লি। দিল্লিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫৬২। দিল্লি স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার দিল্লিতে ৫ শতাংশ পজিটিভিটি রেটের সঙ্গে ১২৪ নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে।
আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও, কিছুটা স্বস্তি মিলছে সুস্থতার হারেও। হাসপাতাল থেকে ছুটি পেয়েছেন ৪ হাজার ৭২৪ জন বা ৪৬.৫৭ শতাংশ রোগীই।
গোটা দেশে পাঁচ হাজারের দোরগোড়ায় আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছতেই সতর্কবিধি জারি করেছে কেন্দ্র। বাজার, ভিড় এলাকা থেকে দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশ। শুধু তাই নয়, করমর্দন-কোলাকুলি না করার নির্দেশ। একই সঙ্গে মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া হাত পরিষ্কার,চোখ, নাক, মুখ স্পর্শ করার আগে হাত ধোয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
রাজ্য সরকারের তরফে বুধবার স্বাস্থ্য নির্দেশিকা জারি হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, জিনোম সিকোয়েন্সিং করতে হবে। স্কুল অফ ট্রপিক্যালে পাঠাতে হবে নমুনা পাঠাতে হবে। শ্বাসকষ্ট উপসর্গ থাকা রোগীদের নজরদারি করতে হবে। প্রয়োজনে টেস্ট করতে হবে। কো-মরবিটি যাঁদের রয়েছে তাঁদের দিকেও বিশেষ নজর দিতে হবে। ফিভার ক্লিনিকগুলির পরিকাঠামো মজবুত করতে হবে।