One North East: উত্তর পূর্ব ভারতে নয়া রাজনৈতিক শক্তির জন্ম হল। দিল্লিতে এসে উত্তর পূর্ব ভারতে দুই এনডিএ শাসিত রাজ্যের বিজেপি শরিক দলের শীর্ষ নেতারা আলাদা মঞ্চ গড়ার কথা ঘোষণা করলেন। উত্তর পূর্ব ভারতে এক ছাতার তলায় আসার কথা ঘোষণা করলেন ত্রিপুরার বিজেপি সরকারের কিংমেকার প্রদ্যুৎ মাণিক্য দেববর্মা (Pradyot Manikya Dev Barma), মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা (Conrad Sangma) ও নাগাল্যান্ডে দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বিজেপি ছেড়ে যাওয়া প্রভাবশালী নেতা মহোনলুমো কিকন। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে নয়া জল্পনা শুরু হয়েছে। অস্বস্তিতে বিজেপি। প্রদ্যুৎ, কনরাডের এই মঞ্চে রয়েছেন অসমের ছোট দল 'পিপিএলস পার্টি অফ অসম', সিকিম, মণিপুর, মিজোরামের দুটি দল। উত্তর–পূর্ব ভারতের রাজনৈতিক নয়া সমীকরণের জন্ম দিয়ে এক মঞ্চে পাশাপাশি মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা, টিপ্রা মোথার প্রতিষ্ঠাতা প্রদ্যোত মানিক্য দেববর্মা এবং বিজেপির প্রাক্তন জাতীয় মুখপাত্র এমএমহোনলুমো কিকন।
দিল্লিতে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে মঙ্গলবার তাঁরা ঘোষণা করলেন গঠিত হচ্ছে উত্তর-পূর্বের স্বার্থ রক্ষায় একটি রাজনৈতিক মঞ্চ। যে মঞ্চের প্রাথমিকভাবে নাম ঠিক করা হয়েছে, ‘ওয়ান নর্থ ইস্ট’। মঞ্চের নেতারা জানান, উত্তর–পূর্বের আটটি রাজ্যের জন্য এক শক্তিশালী, ঐক্যবদ্ধ কণ্ঠস্বর গড়ে তোলাই তাদের লক্ষ্য। বহুদিন ধরেই অভিযোগ ছিল, জাতীয় স্তরে উত্তর-পূর্ব ভারতের সমস্যা, পরিচয়, জমির অধিকার ও উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রশ্নগুলো যথাযথ গুরুত্ব পায় না। সেই শূন্যতাই পূরণ করতে চাইছে এই নতুন প্ল্যাটফর্ম।
এক উত্তর পূর্বের ঘোষণা
#guwahati | In a significant political move regional political parties of northeast led by Meghalaya chief minister Conrad Sangma and Tipra Motha leader Pradyot Manikya on Tuesday announced a plan to merge and float a single political entity aimed at amplifying the voice of…
— Deccan Chronicle (@DeccanChronicle) November 4, 2025
সংবাদ সম্মেলনে উত্তর পূর্ব ভারতের নয়া এই মঞ্চের নেতারা জানান, এই জোটের লক্ষ্য শুধু ভোটের রাজনীতি নয়, বরং দীর্ঘদিনের মূল ইস্যুগুলিতে নজর দেওয়া। যেমন- আদিবাসী ও স্থানীয়দের অধিকার রক্ষা, ভূমি সুরক্ষা ও সাংস্কৃতিক পরিচয় সংরক্ষণ, সমপরিমাণ উন্নয়ন নিশ্চিত করা, রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্ব শক্তিশালী করা।
প্রসঙ্গত, ২০২৮ ত্রিপুরা নির্বাচনে নিজেকে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে তুলে ধরতে চাইছেন প্রদ্যুৎ মাণিক্য দেববর্মন। যে প্রদ্যুৎ-এর কারণেই বিজেপি ত্রিপুরায় গত বিধানসভা ভোটে জিতে সিংহাসন বাঁচাতে পেরেছে। এখন বিজেপি সরকারের মন্ত্রী হলেও নানা কারণে বিজেপির সঙ্গে মেঘালয়ে বিজেপির সমর্থনে সরকার চললেও মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে দূরত্ব দেখাতেই চাইছেন। এই দুই নেতাই উত্তর পূর্ব ভারতে বিজেপিকে অক্সিজেন দিয়ে এসেছেন। কিন্তু তারা আলাদা মঞ্চে আসায় বিজেপির ওপর চাপ বাড়ছে। উত্তর-পূর্ব ভারতের আঞ্চলিক শক্তিগুলিকে এক ছাতার তলায় আনার এই উদ্যোগ রাজনৈতিক মহলে আলোড়ন তুলেছে।