Rahul Gandhi (Photo Credit: X)

Congress Pyari Didi Scheme: এবার দিল্লিতে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Lakshmir Bhandar)-এর ঘোষণা কংগ্রেসের।  দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের আগে বড় ঘোষণা কংগ্রেসের। একটা সময় টানা ১৫ বছর ধরে দিল্লিতে ক্ষমতায় থাকা কংগ্রেস গত দুটি বিধানসভা ভোটে একটি আসনও জেতেনি। তবে এবার ভাল ফল করতে মহিলা ভোটকে পাখির চোখ করল কংগ্রেস। আর সেই কথা মাথায় রেখে দিল্লিতে ক্ষমতায় এলে 'পেয়ারি দিদি' (Pyari Didi Scheme) প্রকল্পে রাজ্যের সব মহিলাদের মাসে আড়াই হাজার টাকা ভাতা দেওয়ার ঘোষণা করল হাত শিবির। আগামী মাসের শেষে দিল্লিতে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা। রাজ্যের ৭০টি আসনের মধ্যে কংগ্রেস ইতিমধ্যেই ৩৫টি-তে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে।

প্রসঙ্গত, ভোটের প্রতিশ্রুতিতে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল দিল্লির মহিলাদের মাসিক ভাতার পরিমাণ বাড়িয়ে ২ হাজার ১০০ টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। কেজরির ২ হাজার ১০০-র জবাবে কংগ্রেস মহিলাদের মাসে আড়াই হাজার টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করল। প্রসঙ্গত, 'মুখ্যমন্ত্রী মহিলা সম্মান যোজনা'- আওতায় দিল্লিতে কেজরিওয়ালের সরকার মাসে এক হাজার টাকার ভাতা দেয়।

দিল্লিতে ক্ষমতায় এলে পেয়ারি দিদি প্রকল্পের ঘোষণা কংগ্রেসের

কেজরিওয়ালে রাজ্যে পেয়ারি দিদি প্রকল্পের কথা ঘোষণা করলেন কর্ণাটকে কংগ্রেসের প্রধান নেতা তথা উপমুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমার। কর্ণাটকে কংগ্রেসের বড় জয়ের পিছনে মহিলাদের জন্য বিশেষ প্রকল্পের বড় ভূমিকা ছিল।

ভোটের বাজারে বাজিমাত করতে এখন মহিলাদের মাসিক ভাতার ঘোষণা একটা বড় অস্ত্র। সম্প্রতি মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ও তাদের শরিক দলের ঐতিহাসিক সাফল্যের পিছনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মডেলে 'লাডলি বেহেনা' প্রকল্পের বড় অবদান ছিল। তেলাঙ্গানায় কংগ্রেস, মধ্যপ্রদেশে বিজেপি-র বড় জয়ের পিছনেও মহিলাদের ভাতা, নানা সুবিধার বড় অবদান ছিল। প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গে মহিলাদের মাসিক এক হাজার টাকার ভাতা দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়।

দিল্লিতে কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতের ছেলে সন্দীপ দীক্ষিত ও মুখ্যমন্ত্রী আতিশির কেন্দ্রে অলকা লাম্বাকে দাঁড় করিয়েছে কংগ্রেস। গত দশ বছর ধরে দিল্লিকে লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনে কোনও আসন জিততে পারেনি হাত শিবির। দিল্লির মহিলা ভোটের কব্জা বিধানসভা ভোটে এখন কেজরিওয়াল, আর লোকসভা ভোটে নরেন্দ্র মোদীর দখলে। যেটা শীলা দীক্ষিতের আমলে কংগ্রেসের দখলে ছিল।