নতুন দিল্লি, ৪ জুন: অনেক হিসেব উল্টে নরেন্দ্র মোদীকে চ্যালেঞ্জে ছুঁড়ে দিচ্ছে কংগ্রেসের নেতৃত্বে নামা বিরোধীদের জোট ইন্ডিয়া। অপ্রত্যাশিতভাবে উত্তর প্রদেশে অস্বাভাবিক ভাল ফল করছে ইন্ডিয়া জোট। বাংলায় সব এক্সিট পোলকে মিথ্যা প্রমাণ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিকে ধরাশায়ী করছেন। মহারাষ্ট্রে দারুণ ফল করছে কংগ্রেস, উদ্ধভ ঠাকরে শিবসেনার ইন্ডিয়া জোট। হরিয়ানার মত বিজেপি শাসিত রাজ্যে হাত নিজেদের জোর দেখাচ্ছে। দশ বছর পর এই প্রথম কোনও নির্বাচনে গাল হাতে দিতে দেখা যাচ্ছে বিজেপি সমর্থকদের। যদিও এখনও ভোট গণনার বেশ কিছুটা সময় বাকি।

অপ্রত্যাশিতভাবে প্রাথমিক ফলের প্রবণতায় নরেন্দ্র মোদীকে ক্ষমতাচ্যুত করার একটা সুযোগ এসে গিয়েছে বিরোধীদের কাছে। আর এই সুযোগটা কাজে লাগাতে মাঠে নামছে ইন্ডিয়া শিবির। এখনও পর্যন্ত দুপুর ১টা পর্যন্ত ফলের প্রবণতায় দেখা যাচ্ছে। দেশের ৫৪৩টি লোকসভা আসনের মধ্যে এনডিএ এগিয়ে রয়েছে ২৯১টি আসনে, আর কংগ্রেস, তৃণমূল, সপা-র ইন্ডিয়া এগিয়ে ২৩৩টি-তে। সেই হিসেবে ম্যাজিক ফিগার থেকে এনডিএ মাত্র ১৯টি আসনে এগিয়ে। কিন্তু এনডিএ দলগুলির মধ্যে আছে চন্দ্রবাবু নাইডু-র টিডিপি, নীতীশ কুমারের জেডি (ইউ)-র মত দল। যারা ক মাস আগেও বিজেপির সঙ্গে ছিলেন না।

দেখুন খবরটি

মোদী জমানাতেই ক মাস আগে জেল খেটেছিলেন চন্দ্রবাবু। তবে বিরোধীদের অভিযোগে ইডি-সিবিআইয়ের ভয়ে চন্দ্রবাবু অনিচ্ছাতেই বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধেছিলেন। চন্দ্রবাবু অন্ধ্রে ১৬টি আসন জেতার মত জায়গায় আছেন। এবার এনডিএ থেকে নাইডু বেরিয়ে গেলে মোদীর পক্ষে ক্ষমতা ধরে রাখা কঠিন হবে। শোনা যাচ্ছে, কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কেসি ভেনুগোপাল কথা বলবেন টিডিপি প্রধান চন্দ্রবাবু নাইডু-র সঙ্গে। অন্যদিকে, তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কথা বলতে পারেন বিজেডি প্রধান নবীন পট্টনায়েকের সঙ্গে। নীতীশ কুমারের জনতা দল ইউনাইটেডকে নিয়ও জল্পনা শুরু হয়েছে। যদিও বিজেপির বক্তব্য, গণনা যেমন চলছে, তাতে তাদের পক্ষে ৪০০ আসনে জয় না এলেও একাই ২৭২টি-র বেশী আসনে জয় নিশ্চিত হয়ে যাবে।