কোয়েম্বাটোর জেলার সিংগানাল্লুরের দ্বাদশ শ্রেনীর ছাত্রী অজিতা। চলতি বছরেই সে ভাদাকোওয়াই এলাকার কর্পোরেশন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষায়  বসেন এবং পাবলিক পরীক্ষায় ৩৭৩  নম্বর পান। এরপর স্নাতক স্তরে মনোবিজ্ঞান (B.Sc. পড়ার ইচ্ছা নিয়ে অনেক কলেজ পরিদর্শন করেন তিনি। কিন্তু জানা গেছে কোনরকম কারণ না দেখিয়ে সব কলেজ তাকে প্রত্যাখ্যান করেছে। এমনকি  মহিলারা যেখানে পড়াশোনা করেন সেখানেও তাকে সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। কারণ অজিতা ট্রান্সজেন্ডার।

কলেজে ভর্তিঃ-

ট্রান্সজেন্ডার অজিতা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, 'আমি ভাটাগোয়াই এলাকার কর্পোরেশন স্কুলে প্লাস ২ শেষ করে বিএসসি করতে চাইছি। আমি মনোবিজ্ঞান নিয়ে পড়ার স্বপ্ন দেখেছিলাম।সেই কারণে আমি অনেক কলেজেই আবেদন করি। এরই মধ্যে কোয়েম্বাটুর কলেজ সরাসরি আমি একজন ট্রান্সজেন্ডার ছাত্রী এবং আমার সঙ্গে অধ্যয়নরত অন্যান্য শিক্ষার্থীদের জন্য সমস্যা হতে পারে বলে প্রত্যাখ্যান করে। এছাড়াও, আমি ভাদাকোওয়াই এলাকার একটি কলেজে আবেদন করলে, কলেজের প্রশাসকরা বলেছিলেন যে আপনি অন্য মহিলাদের ক্ষতি করবেন।' কোন কলেজে আমাকে জিজ্ঞাসা করা হয়  আপনি কোন বিশ্রামাগার ব্যবহার করবেন? অবশেষে  অনেক কলেজ ঘুরে এখন কাউন্টার মিল এলাকার একটি বেসরকারি কলেজে আমি আসন পেয়েছি।

অজিতা আরও বলেন- এটা আমাকে কষ্ট দেয় যে এই সমাজে তৃতীয় লিঙ্গদের (হিজড়াদের) শিক্ষা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। তাই আমার ঘটনাকে বিবেচনা করে, সরকারের উচিত হস্তক্ষেপ করা এবং তাঁদের উচ্চ শিক্ষা প্রদানের জন্য পদক্ষেপ নেওয়া'।