নতুন দিল্লি, ৯ ডিসেম্বর: আজ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) লোকসভায় (Lok Sabha) নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল (Citizenship Amendment Bill) পেশ করেন। বিল পেশের পর বিরোধীদের দিক থেকে ধেয়ে আসে নানারকম মন্তব্য। তাঁদের দাবি এটি একটি সংখ্যালঘু বিরোধী বিল। এই নিয়ে বিরোধিরা সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র বিরোধিতা করে। তবে চুপ থাকেননি অমিত শাহ। তিনি জানান, '.০০১%'-ও সংখ্যালঘুদের বিপক্ষে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নয়।
কংগ্রেস (Congress) সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury) সবার আগে উঠে দাঁড়িয়ে এই বিলটির বিরোধিতা (Oppose) করেন। তিনি বলেন, দেশের সংখ্য়ালঘুদের টার্গেট করে তৈরি করা হয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। তৃণমূল (Trinamool Congress) সাংসদ সৌগত রায় (Saugata Roy) মন্তব্য করতে গেলে তাঁকে প্রবলভাবে বাধা দেন সরকার পক্ষের সাংসদরা। এতে বিরক্ত সাংসদ বলে ওঠেন, আপনারা এরকম করছেন কেন। মারবেন নাকি! সৌগত রায়ের সোজা কথা, বিলে কী রয়েছে তা পরের বিষয়। নীতিগতভাবে এই বিলের বিরোধিতা করছে তৃণমূল কংগ্রেস। কারণ ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে এই বিলের মাধ্যমে। আরও পড়ুন, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল এনে দেশের হিন্দু-মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে অদৃশ্য বিভেদ গড়ছে কেন্দ্র, সামনা’র সম্পাদকীয়তে প্রশ্ন তুলল শিবসেনা
বিলের বিরোধিতা করেছে আরএসপি (RSP), এআইএমআইএম পার্টি (Mim) ও কংগ্রেস। মিম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েসি বলেন, সংবিধানের অবিচ্ছেদ্দ অংশ ধর্মনিরপেক্ষতা। এই বিলের মাধ্যমে মানুষের মৌলিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল লাগু হলে হিটলার আর অমিত শাহর মধ্যে কোনো তফাৎ থাকবে না।
সরকার যদি এভাবে বেছে বেছে শুধুমাত্র হিন্দু অনুপ্রবেশকারীদের নাগরিকত্ব দেয় তাহলে দেশজুড়ে ধর্মীয় হানাহানির শুরু হয়ে যেতে পারে। শিবসেনার মুখপত্র সামনা’র সম্পাদকীয়তে এনিয়েই ধর্ম যুদ্ধের আশঙ্কা করা হয়েছে। সম্পাদকীয়তে আরও বলা হয়েছে, এই বিল পাস করে সরকার ভোট ব্যাংকের রাজনীতিতে খুব বেশি এগোতে পারবে না। বেকারত্ব থেকে শুরু করে অর্থনৈতিক দূরবস্থা। সরকারি সংস্থাগুলি একে একে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির দেউলিয়া দশা কাটাতে বিভিন্ন ব্যাংকের সঙ্গে সংযুক্তিকরণ চলছে। এত সমস্যা থাকতে কেন নাগরিকত্ব বিলে কেন্দ্র মাথা ঘামাচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন করে শিবসেনা।