Army Chief Gen MM Naravane on Ladakh Standoff: কেউ যেন ভারতীয় সেনার ধৈর্য্যের পরীক্ষা না নেয়, চিনকে স্পষ্ট বার্তা সেনাপ্রধান নারাভানের
মনোজ মুকুন্দ নারাভানে (Photo Credits: IANS)

নতুন দিল্লি, ১৫ জানুয়ারি: দেশের উত্তরে চিনের সঙ্গে যে সীমান্ত সমস্যা রয়েছে তা মেটাতে আলোচনায় রাজি হয়েছে ভারত। তারপরেও বলছি, কেউ যেন ভারতের ধৈর্য্যের পরীক্ষা নেওয়ার মতো ভুল না করে। শুক্রবার এভাবেই চিনকে স্পষ্ট বার্তা দিলেন ভারতের সেনাপ্রধান মনোজ মুকুন্দ নারাভানে (Gen MM Naravane)। সেনাদিবসের প্যারেডে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, “সীমান্তে একতরফা পরিবর্তনের জন্য ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। পূর্ব লাদাখের গলওয়ান শহীদ সেনাদের আত্মত্যাগ বিফলে যাবে না। দেশের সার্বভমত্ব ও নিরাপত্তার হানিকারক কোনও কিছুতেই অনুমোদন করবে না ভারতী সেনা। রাজনৈতিক ও আলাপ আলোচনার মাধ্যমে আমরা সমস্যার সমাধানে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে কেউ যেন আমাদের ধৈর্য্যের পরীক্ষা নেন।” আরও পড়ুন-Winter In West Bengal: বাঘকে ছেড়ে মাঘের শীত এবার বঙ্গবাসীর গায়ে, কাঁপছে দার্জিলিং

গত বছরের ১৫ জুন পূর্ব লাদাখের গলওয়ান ভ্যালিতে চিনের লালফৌজের সঙ্গে সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় সেনা জওয়ান শহিদ হন। গত দশকে ভারত ও চিনের মধ্যে হওয়া বড়মাপের সীমান্ত সংঘর্ষের মধ্যে অন্যতম এই ঘটনা। তবে এই দুই দেশের সেনা সংঘর্ষে চিনের তরফে ঠিক কতদনের প্রাণগিয়েছিল বা কত জন আহত হয়েছিলেন। তার কোনও সঠিক খবর বেজিং এখনও প্রকাশ্যে আনেনি। শুধু এই সেনা সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনা স্বীকার করেছিল শি জিনপিংয়ের সরকার। তবে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য অনুযায়ী এই সংঘর্ষে চিনের তরফে ৩৫ জন লালফৌজের প্রাণহানি ঘটে। গোটা পরিস্থিতি নিয়্ন্ত্রণে আনার জন্য ভারত ও চিনের মধ্যে সেনা পর্যায়ে পর পর ৮ দফার বৈঠক হয়ে গিয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে সমাধান সূত্র খুঁজতে দুই দেশের সমঝোতার মাধ্যমে সমানভাবে সমান নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করতে হবে। এজন্য ভারতের তরফে চেষ্টার ত্রুটি নেই।

পাকিস্তান সম্পর্কে মুখ খুলে নারাভানে জানান, প্রতিবেশী দেশ হল সন্ত্রাসবাদীদের নিরাপদ স্বর্গরাজ্য। নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর যেসব জঙ্গি ঘাঁটি গড়ে উঠেছে, তার নেপথ্যে রয়েছে পাকিস্তানের সম্পূর্ণ মদত। সবসময় প্রায় ৩০০-৪০০ জঙ্গি নিয়্ন্ত্রণরেখার ওপার থেকে ভারতে অনুপ্রবেশের জন্য প্রস্তুত থাকে। পাকিস্তান য়ে বারতকে নিয়ে দরাচার পরিকল্পনা করে চলেছে তা গত বছরে নিয়ন্ত্রণরেখা যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে ৪০ শতাংশ হামলা বৃদ্ধির কারণই প্রমাণ করে। এমনকী তারা অস্ত্র চোরাচালানের জন্য ড্রোনও ব্যবহার করছে।