বৃহস্পতিবার বোমা ফাটালেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে ভোট কোথায় কোথায় কীভাবে চুরি হয়েছে এবং এক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনেরও হাত রয়েছে, সেকথা বলে ফেললেন তিনি। এমনকী তাঁর অভিযোগের যে সত্যতা রয়েছে, সেটা তিনি তথ্যপ্রমাণ সহ পেশ করলেন। যদিও এই বিষয়ে তদন্ত করেছে কংগ্রেসেরই নেতারা। আর তারপরই সে তথ্যপ্রমাণ সামনে আনেন তিনি। যেখানে সাম্প্রতিককালে বিজেপি যে রাজ্যগুলিতে জিতেছে অর্থাৎ মহারাষ্ট্র, হরিয়ানার মতো বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি তো রয়েইছে। সেই সঙ্গে কংগ্রেস শাসিত কর্ণাটকের দুটি আসনেও কারচুপি হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
বড়সড় অভিযোগ রাহুলের
তাঁর মতে, বিভিন্ন বুথে একই লোকের নাম ছিল, কোথাও আবার তালিকা থেকে ভোটারের ছবি উধাও ছিল, এছাড়া ভুয়ো ঠিকানাও ছিল বেশ কয়েকজন ভোটারের। এই ছবি দেখা গিয়েছে কর্ণাটকের বেঙ্গালুরু সেন্ট্রাল ও মহাদেবপুরায়। তাঁর অভিযোগ, ১ লক্ষেরও বেশি ভুয়ো ভোটার দিয়ে ভোট চুরি করেছে বিজেপি। আর সেই কারণেই বিজেপির সঙ্গে কংগ্রেসের জয়ের ব্যবধান অনেকটাই কম ছিল বলে দাবি রায়বারেলির কংগ্রেস সাংসদের। এমনকী লোকসভা নির্বাচনেও বেঙ্গালুরুতে কারচুপির অভিযোগ করেছেন তিনি।
রাহুল গান্ধীকে কী নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন?
একই অবস্থা হরিয়ানা, মহারাষ্ট্রেও। রাহুলের অভিযোগ, মহারাষ্ট্রে লোকসভা নির্বাচনে তাৎপর্যপূর্ণভাবে বেশি ভোট পেয়েছিল বিরোধী জোট। সেখানে কয়েকমাসের ব্যবধানে বিধানসভা নির্বাচনে কীভাবে তাঁরা হেরে গেল, এটা নিয়ে তাঁর প্রথম থেকেই খটকা হয়। এই রাজ্যেও তদন্ত করে তাঁরা দেখতে পেয়েছে ভোট চুরি হয়েছে। একই অবস্থা হরিয়ানাতেও। রাহুলের এই অভিযোগ সামনে আসতেই মুখ খোলে এই সমস্ত রাজ্যের নির্বাচন কমিশন। ইতিমধ্যেই রাহুলকে চিঠি পাঠিয়ে তথ্যপ্রমাণ কমিশনারের অফিসে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হরিয়ানা, মহারাষ্ট্রের নির্বাচন কমিশনের আধিকারিক।