মহারাষ্ট্র, কর্ণাটকের পর হরিয়ানাতেও (Haryana) হয়েছিল ভোটচুরি। নির্বাচন কমিশনের এই পক্ষপাতিত্বের কারণেই হরিয়ানায় সরকার গড়তে পেরেছিল বিজেপি। বিহারে নির্বাচনী প্রচারের শেষলগ্নে এসে এবার হরিয়ানা নিয়ে সুর চড়িয়েছেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। তাঁর অভিযোগ, হরিয়ানা নির্বাচনেও জালিয়াতি হয়েছিল। সেই কারণে তাঁরা নির্বাচনে হেরেছে। এবং সেই সংক্রান্ত তথ্যপ্রমাণও নাকি তাঁর কাছে আছে। ফের নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে এহেন অভিযোগ তুলে বিতর্কের ঝড় তুলেছেন রাহুল।

রাহুলকে চ্যালেঞ্জ কমিশনের

যদিও তাঁর এই অভিযোগ যোগ্য জবাব দিতে প্রস্তুত নির্বাচন কমিশনার। বুধবার হরিয়ানার নির্বাচন কমিশনার সামাজিক মাধ্যমে জানিয়েছেন, তাঁরা রাহুল গান্ধীর অভিযোগের প্রতিক্রিয়া দিতে প্রস্তুত। খুব শীঘ্রই এই সংক্রান্ত তথ্য পেশ করে সাংবাদিক সম্মেলন করবেন তাঁরা। কার্যত রাহুলের তোলা অভিযোগের চ্যালেঞ্জ করল নির্বাচন কমিশন। প্রসঙ্গত, এর আগে কর্ণাটক নিয়েও একই অভিযোগ তুলেছিলেন রাহুল। যদিও সেবারও রাজ্যে নির্বাচন কমিশনার সপাটে এর জবাব দিয়েছিল।

তথ্যপ্রমাণ পেশের হুঁশিযারি রাহুলের

এমনকী রাহুলের কাছে যদি কোনও তথ্যপ্রমাণ থাকে, তবে সেটাও পেশ করতে বলেছিল। কিন্তু তখনও রাহুল তাঁর সপক্ষে কোনও প্রমাণ পেশ করতে পারেনি। এদিকে কর্ণাটকে আবার তাঁদেরই সরকার রয়েছে। একই অবস্থা হয়েছিল মহারাষ্ট্রের ক্ষেত্রে। তবে এবারে রাহুল গান্ধী জানিয়েছেন, তিনি নাকি হরিয়ানায় ভোট চুরি হয়েছে সেই সংক্রান্ত তথ্যপ্রমাণ পেশ করবেন। তাঁর দাবি, প্রতিটি ৮ জন ভোটারের মধ্যে ১ জন ভুয়ো ভোটার ছিল হরিয়ানা নির্বাটনে।