মায়াবতী (Photo Credits: PTI)

নতুন দিল্লি, ১ অক্টোবর: বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশ অপরাধী, মাফিয়া ও ধর্ষকদের মুক্তাঞ্চলে পরিণত হয়েছে। হাথরাস নৃশংসতার পরেপরেই ফের বলরামপুরে গণধর্ষণে নির্যাতিতার মৃত্যুর খবর আসতেই তোপ দাগলেন বহুজন সমাজ পার্টির নেত্রী মায়াবতী। রাজ্যের মহিলাদের নিরাপত্তা দিতে পারছে না যোগী সরকার। তাই উত্তরপ্রদেশে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করুক কেন্দ্র, দাবি তুললেন মায়াবতী (Mayawati)। তিনি সংবাদ সংস্থা এএনাই-কে বলেন, “হাথরাসের ঘটনার পরে আমি আশা করেছিলেম মহিলাদের সম্মানকে যারা নিচে নামিয়ে এনেছে সেই সব অপরাধীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেবে উত্তরপ্রদেশ সরকার। কিন্তু ফের আর এক দলিত ছাত্রীর উপরে একই নারকীয় ঘটনা ঘটল। বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশ এখন অপরাধী, মাফিয়া ও ধর্ষকদের মুক্তাঞ্চল।”

এমন ঘটনা তাঁকে ভিতর থেকে নাড়িয়ে দিয়েছে। তাইতো সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছেন তিনি। সাংবাদিকদের মায়াবতী বলেন, “দলিত সম্প্রদায়ের মেয়েরা এখানে একদম নিাপদ নয়। তাইতো কেন্দ্রকে জাগানোর চেষ্টা করছি। যাতে এসব দেখে যোগী সরকার একটু নড়েচড়ে বসে। গ্যাংস্টারদের উপরে পুলিশ যে পদক্ষেপ নিচ্ছে তা সততা থেকে নয়, রাজনৈতিক স্বার্থে চলছে সেসব এনকাউন্টার। মানুষ এমনই বলালি করছে। এই ঘটনা যদি সত্যি হয় তাহলে তা বড়ই লজ্জাজনক। এই সরকারের রাজত্বে রাজ্যের সর্বস্তরের মানুষ বিরক্ত। যোগীর রাজ্যে সমস্ত রকমে অপরাধের সংখ্যা বাড়লেও রাজ্যের মেয়েদের নিরাপত্তা তলানিতে এসে ঠেকেছে। গত ২৮ তারিখে নির্যাতিতার পরিবারের কাছে বহুজন সমাজ পার্টির একটি প্রতিনিধি দলকে পাঠিয়েছিলাম। যখন তাঁরা ঘটনাস্থলে পৌঁছালো পুলিশ তড়িঘড়ি সেই প্রতিনিধি দলকে সেখান থেকে সরিয়ে থানায় নিয়ে গেল। তারপর নির্যাতিতার দাদা ও মাকে সেখানে ডাকা হল। যখন প্রতিনিধি দল তাঁদের সঙ্গে কথা বলছিল, পুলিশ ঠায় সেখানে দাঁড়িয়ে সবটাই দেখল। নির্যাতিতার দেহ পেল না পরিবার। প্রিয়জনকে শেষ সম্মান জানানোর সুযোগ দিল না পুলিশ। একে যদি জঙ্গল রাজ না বলা হয় তো কাকে বলব? হাথরাস গণধর্ষণকাণ্ড ও বলরামপুর গণধর্ষণকাণ্ড তাঁকে দিল্লির নির্ভয়াকাণ্ডকে মনে করাচ্ছে।” আরও পড়ুন-Motor Vehicle Rules From October 1: আজ থেকে মিষ্টির গায়ে ম্যানুফ্যাকচারিং ডেট, বদলে যাচ্ছে মোটর ভেহিকেলের নিয়ম কানুন, বদলের তালিকায় কী কী দেখে নিন এক ঝলকে

ফের যোগী সরকারেকে একহাত নিয়ে মায়াবতী বলেন, “আমি যোগী আদিত্যনাথকে মনে করিয়ে দিতে চাই যে আপনি এক মেয়ের গর্ভেই জন্ম নিয়েছেন। আপানর উচিত অন্যদের মেয়েকেও নিজের মেয়ে মনে করা। যদি তাঁদের সুরক্ষা না দিতে পারেন, তাহলে পদত্যাগ করুন। মৃতার পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ আর সরকারি চাকরি দিয়ে এই অন্যায় রোধ করা যাবে না। আমি কেন্দ্রকে বলতে চাই যে উত্তরপ্রদেশের সরকারের ঘুম ভাঙছে না। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা যোগীর নেই কেন্দ্র হয়তো সংঘ পরিবারের চাপে পড়ে সেসময় যোগী আদিত্যনাথকে মুখ্যমন্ত্রী করেছিল, তবে দক্ষতার সঙ্গে উত্তরপ্রদেশের সরকার চালানোর জন্য তিনি একেবারেই উপযুক্ত নন। ”