Representative Image (Photo Credit- Wikimedia Commons)

নতুন দিল্লি, ২২ জুন: নরেন্দ্র মোদী তৃতীয়বার দেশের সিংহাসনে ফেরার পর দেশজুড়ে উন্নয়নের জোয়ার আনার পরিকল্পনা নিয়েছে। জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রী হয়ে অনেক কিছু ভারসাম্য করে চলতে হবে, ক্ষমতায় থাকলে গেলে এবার চমকপ্রদ কিছু করতে হবে মোদী সরকারকে। আর সেটা করতে গেলে প্রশাসনিক দক্ষতা দেখাতে হবে, কেন্দ্রীয় সরকারী কর্মচারীদের কাজে দক্ষতা বাড়াতে হবে। আর দেশের ক্ষমতায় ফিরে কেন্দ্রীয় সরকারী কর্মচারীদের ওপর কড়া নিয়ম চালু করা হল। এবার থেকে আর কোনও অজুহাত নয়। ১২টায় অফিস এসে, দুটোয় টিফিন নয়, একেবারে ঘড়ি ধরে ৯টা ১৫-র মধ্যে অফিস আসতে হবে। সকাল ৯টা ১৫ মিনিটের মধ্যে অফিসে হাজিরা না দিলে শাস্তির ব্যবস্থা থাকছে। সময়ে অফিস না হওয়ার শাস্তি হিসেবে ক্যাজুয়াল লিভ বা সিএল থেকে অর্ধেক ছুটি কেটে নেওয়া হবে। শুধু হাজিরাই নয়, কর্মীদের দ্রুত ও দক্ষতার সঙ্গে কাজ করার ওপরও গুরুত্ব দিচ্ছে কেন্দ্র।

রিপোর্টে প্রকাশ, কেন্দ্রীয় সরকারের জুনিয়র লেভেল, কম বয়সীদের মধ্যে কাজে ফাঁকি, দেরিতে আসার প্রবণতা রয়েছে। কিন্তু এই বিষয়ে বেশীরভাগ সিনিয়র বা অভিজ্ঞ কর্মীরা উদাহরণ হচ্ছেন। দেখা যাচ্ছে তাঁরা বেশী সময় অফিসে থেকে কাজ করছেন। তবে অবশ্যই বিষয়টি ব্যক্তির ওপর নির্ভর করছে। এবার থেকে কেন্দ্রীয় সরকারী কর্মীদের উপস্থিতির সময় নিয়ে আলাদা নজরদারি করা হবে বলে জানা গিয়েছে। সব অফিসে বায়োমেট্রিক হাজিরার বিষয়েও জোর দেওয়া হচ্ছে। কর্মীদের সময়ানুবর্তিতা, দক্ষতা, কাজে স্বচ্ছতা-র ওপর জোর দিচ্ছে মোদী সরকার। আরও পড়ুন-Kerala Rain: বর্ষা জমছে! কেরলে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস, জারি লাল সতর্কতা

সরকার কর্মীদের দেখবে, কর্মীরাও সরকার-মানুষের কাজ করুক। তেমনটাই চাইছে মোদী সরকার। সরকারের পরিকল্পনা রূপায়ন-বাস্তবায়নে সরকারী কর্মীদের ভূমিকা অনেকটা বেশী থাকে। লাল ফিতের ফাঁস কেটে দ্রুত কাজ শেষের বিষয়টি সরকারী কর্মীদের ওপরেই নির্ভর করে।