নতুন দিল্লি, ১৩ মার্চ: কর্ণাটকে মৃত ৭৬ বছরের বৃদ্ধ, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন (India's First COVID-19 Death)। করোনার গ্রাসেই প্রাণ গিয়েছে তাঁর। জানিয়ে দিলে কেন্দ্র। ওই বৃদ্ধ গত ২৯ জানুয়ারি সৌদি আরবে গিয়েছিলেন দেশে ফিরেছেন ২৯ ফেব্রুয়ারিতে। সরকারের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, দেসে ফেরার পর সামান্য অসুস্থতা ছিল তাঁর। তার এক সপ্তাহ পর থেকে জ্বর, কাশি, শুরু হয়। তখন থেকেই করোনাভাইরাসের উপসর্গ ওই বৃদ্ধের শরীরে বাসা বাঁধতে শুরু। যার পরিণতিতেই এই মৃত্যু ঘটেছে। বৃদ্ধ অ্যাসথেমা ও হাইপার টেনশনের রোগী ছিলেন। উপসর্গগুলি ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করলে তিনি আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরিবারের সদস্যরা তাঁকে কালাবুরাগী হাসপাতালে ভর্তি করে দেন।
হাসপাতালের চিকিৎসকরা প্রথম পরীক্ষার পরে জানান বৃদ্ধ নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত। পরে ৯ মাচ তাঁর রক্তের নমুনা ফের পরীক্ষা করতে পাঠানো হলে জানা যায়, সিওভিআইডি-১৯ এর থাবা বৃদ্ধের উপরে পড়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত হতে বেঙ্গালুরুর ল্যাবেও পাঠানো হয় রক্তের নমুনা সেখানেও করোনাভাইরাস পজিটিভ মেলে। এরপর চিকিৎসকদের কথা না শুনে পরিবারের লোকজন প্রায় জোর করেই বৃদ্ধকে হাসপাতাল থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে হায়দরাবাদে চলে যান। সেখানকার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কালাবুরাগী হাসপাতালের প্রধান স্বাস্থ্য অধিকরাত আক্রান্তের পরিবারের কাছে গিয়ে রীতিমতো অনুরোধ করেন যাতে, তাঁকে আইসোলেশন রাখা হয়। সমস্তরকম সুরক্ষা বলয় সমেত। পরিজনরা তাঁকে লুকিয়ে রাখতে পারেন না। এমনকী হাসপাতালের চিকিৎসকদের অনুমতি ছাড়া হায়দরাবাদেও নিয়ে যেতে পারেন না। তবে। বৃদ্ধের আত্মীয়রা সেসবে গ্রাহ্যই করেনি। আরও পড়ুন- First Coronavirus Death In India: ভারতে প্রথম, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ৭৬ বছরের বৃদ্ধের
পরে যখন ওই বৃদ্ধকে হায়দরাবাদের হাসপাতাল থেকে ডিসচার্জ করিয়ে পুনরায় কালাবুরাগীতে আনা হচ্ছিল সেই সময়ই ১০ মার্চ তাঁর মৃত্যু হয়। কর্ণাটকের জেলা স্বাস্থ্যবিভাগ সুরক্ষা সংক্রান্ত সবকিছুর বন্দোবস্তই করেছিল। হোমা আইসোলেশনের ব্যবস্থাও হয়। তবে ততক্ষণে অনেকটাই দেরি হয়ে গিয়েছে।