নিজের দলের বিধায়ককেই নাকি খুনের চেষ্টা করেছিলেন অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগন মোহন রেড্ডি (Jagan Mohan Reddy)। ১৪ মে ২০২১ সালে তাঁকে রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধে সিআইডি গ্রেফতার করা হয়েছিল রঘু রাম কৃষ্ণ রাজুকে। সেই সময় দুই আইপিএস অফিসার তাঁকে জেলবন্দি অবস্থায় খুব মারধর করেছিল বলে অভিযোগ। এমনকী তাঁর হৃদরোগের সমস্যা থাকায় তাঁর ওষুধ চলছিল, কিন্তু সেই ওষুধ খেতেও বাধা দিয়েছিলেন ওই অফিসাররা। আর এই সবকিছু নাকি করাচ্ছিলেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জগন রেড্ডি। সেই সময় তিনি দলে থেকে মুখ্যমন্ত্রী তথা ওয়াইএসআরসিপি সুপ্রিমোর নামে মুখ খুলতে পারেননি, কিন্তু বর্তমানে রাজু টিডিপি-তে যুক্ত হয়েছেন এবং রাজ্যের বিধায়ক। তাই তিনি সম্প্রতি থানায় গিয়ে জগন ও অভিযুক্ত দুই আপিএস অফিসারের নামে অভিযোগ দায়ের করেন। আর তার ভিত্তিতেই এবার শুরু হল তদন্ত।
রাজু অভিযোগ করেন, জগন অন্ধ্রের ক্ষমতায় আসার পর নরসাপুরম কেন্দ্র থেকে ওয়াইএসআরসিপির টিকিটে লোকসভা ভোটে জিতে সাংসদ হন। এরপর ২০২১ সালে আচমকাই হায়দরাবাদ থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। আইপিসি ধারা ১২৪এ, ১৫৩এ ও ৫০৫ ধারায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়। পুলিশের থেকে সিআইডি আধিকারিকরা তদন্তের কারণে তাঁকে হেফাজতে নেয়। এরপর প্রাক্তন সিআইডি প্রধান পি ভি সুনীল কুমার এবং প্রাক্তন গোয়েন্দা আইজি পিএসআর অঞ্জনেয়্যুলু সহ বেশকিছু সিআইডি আধিকারিক তাঁকে লাঠি ও বেল্ট দিয়ে প্রচণ্ড মারধর করেন। এবং মাসখানেক আগে তাঁর হৃদযন্ত্রে অস্ত্রোপচার হয়েছিল, সেই কারণে কিছু ওষুধ নিতেন, সেগুলিও নিতে বাধা দেয় ওই সিআইডি আধিকারিকরা।
#JaganReddy pic.twitter.com/D3ISOzfIE3
— NDTV (@ndtv) July 12, 2024
আর এই নির্যাতনের সময় ওই দুই অফিসার যোগাযোগ রেখেছিলেন জগন রেড্ডির সঙ্গে। তাঁকে ফোনে এই সংক্রান্ত আপডেটও দিতেন। মূলত সেই সময় ওয়াইএসআরসিপির টিকিটে লোকসভা ভোটে জেতার কয়েকদিন পরেই দল ছেড়েছিলেন রাজু। তারপর বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে জগন রেড্ডির বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন। অভিযোগ, সেই কারণেই তাঁকে গ্রেফতার করে তাঁর ওপর অত্যাচার চালাতো পুলিশ প্রশাসন। যদিও পরবর্তীকালে সুপ্রিম কোর্টে দারস্থ হয়ে জামিনে ছাড়া পান রাজু।