জাপানের বুলেট ট্রেন। Representational Image | (Photo Credits: Getty)

মুম্বই, ৩ জুন: প্রধামন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)-র ঐতিহাসিক জয়ের পর, তাঁর স্বপ্নের বুলেট ট্রেন (Bullet Train) কে লাইনে ছোটানোর প্রস্তুতি আরও গতি পেয়েছে। জাতীয় হাই-স্পিড রেল কর্পোরেশন লিমিটেড (NHSRCL)-বুলেট ট্রেন প্রকল্প বেশ জোর গতিতে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। জমি জট কাটিয়ে লাইন পাতার কাজ শুরুর পাশাপাশি, বুলেট ট্রেনের নাম খোঁজাও শুরু হয়ে গিয়েছে। বুলেট ট্রেনের জাপানে নাম-সিকানসেন। আর এবার বুলেট ট্রেন ভারতীয় নাম পাওয়ার পালা। ইতিমধ্যেই অনলাইনে বুলেট ট্রেনের নামকরণের সাজেশন চাওয়ার আবেদন চাওয়া হয়েছে। সেই নামকরণ যদি মিলে যায়, তাহলে মিলবে ৫০ হাজার টাকা ও সার্টিফিকেট। এখনও পর্যন্ত মোট ২২ হাজার নাম ও লোগোর সাজেশন জমা পড়েছে।

এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ভারতের বুলেট ট্রেনের যে নাম রাখা হতে পারে সেগুলির সাজেশেন যা আসছে তা হল-- বুলেট ভারত, বিদ্যুত, মহাত্মা,পবন পুত্র, চেতক, অশ্বমেধ, উদান্তশাত্রি। অনেকে আবার বুলেট ট্রেনের নামে লিখেছেন- পুলওয়ামা শহীদ এক্সপ্রেস। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামাতে জঙ্গি হানায় নিহত শহীদ জওয়ানদের স্মৃতিতেই বুলেট ট্রেনের নাম রাখার দাবি উঠেছে। বুলেট ট্রেনের নামের সাজেশনের শর্ত হিসেবে বলা হয়েছে-কোনও রাজনৈতিক নেতার নামে রাখা যাবে না এই ট্রেনের নাম। বুলেট ট্রেনের নামের পাশাপাশি ম্যাসকটের সাজেশনও চাওয়া হয়েছে। বুলেট ট্রেনের ম্যাসকট হিসেবে জমা পড়েছে ৪ হাজার আবেদন। “mygov.in”ওয়েবসাইটে পাঁচটা ক্যাটাগরিতে চলছে নামকরণ পর্ব। বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গড়া কমিটি শেষ অবধি বেছে নেবে চূড়ান্ত নাম। নামের জন্য থাকছে ৫০ হাজার, আর ম্যাসকটের জন্য থাকছে ১ লক্ষ টাকার পুরস্কার। ১০ হাজার টাকার পাঁচটি সান্ত্বনা পুরস্কারও থাকছে।

আগামী দু মাসের মধ্যে মহারাষ্ট্র সরকার বুলেট ট্রেনের লাইনপাতা ও স্টেশনের জন্য জমি জট সম্পূর্ণ কাটিয়ে দিতে মরিয়া। মুম্বলই-আহমেদাবাদের মধ্যে ৫০৮ কিলোমিটার দীর্ঘ পথ নদীর তলা দিয়ে ২১ কিমি টানেলের মধ্যে দিয়ে যাবে। এই বুলেট ট্রেন প্রকল্পের ফলে মহারাষ্ট্রের ১২০টি ও গুজরাটের ১৯২টি গ্রাম প্রবাবিত হবে। থানে ও ধানুর কিছু বনাঞ্চলেও বনও কাটতে হতে পারে। ২০২২ সালে বুলেট ট্রেন চালু হয়ে যেতে পারে।