
নয়াদিল্লি, ১৬ মেঃ প্রায় তিন সপ্তাহ পাক রেঞ্জার্সের হাতে বন্দি থাকার পর দেশে ফিরেছেন হুগলির রিষড়ার বাসিন্দা বিএসএফ জওয়ান পূর্ণম কুমার সাউ (BSF jawan Purnam Kumar Shaw)। বন্দি অবস্থায় পাক রেঞ্জার্সেরা পূর্ণমের সঙ্গে কেমন আচরণ করেছেন? শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন? সেই সমস্ত কিছু জানার জন্যে আগ্রহী দেশবাসী। ভারত-পাক সংঘর্ষ পরিস্থিতির সময়ে পাকিস্তানে বন্দি ছিলেন ওই বিএফএফ। ভারতীয় সেনা জওয়ানদের দ্বারা পাকিস্তান জঙ্গিঘাঁটি এবং বিমানঘাঁটি ধ্বংসের বদলা কি পূর্ণমের উপরে তুলেছে ইসলামাবাদ?
পূর্ণমের উপর মানসিক নির্যাতন
বুধবার পাকিস্তানের হাত থেকে মুক্তি পেলেও এখনই বাড়ি ফেরা হচ্ছে না ওই বিএসএফ জওয়ানের। ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনা পরিস্থিতির কারণে এখন বাড়ি ফিরতে পারবেন না পূর্ণম। তাই ফোনেই স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী রজনী। পাকিস্তানে তিনি কি অবস্থায় ছিলেন সেই অভিজ্ঞতা স্ত্রীকে ফোনেই জানিয়েছেন পূর্ণম।
এক সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে রজনী জানান, পূর্ণম সুস্থ রয়েছেন। তাঁকে শারীরিকভাবে অত্যাচার করা হয়নি ঠিকই কিন্তু মানসিকভাবে যন্ত্রণা দেওয়া হয়েছে। দিনের পর দিন তাঁকে ঘুমাতে দেওয়া হত না। বিএসএফ জওয়ান নয়, বরং ভারতের একজন গুপ্তচর হিসাবে আচরণ করা হয়েছে স্বামীর সঙ্গে। প্রশ্নবাণে তাঁকে জর্জরিত করা হয়েছিল।
পূর্ণম রজনীকে এও জানিয়েছেন, বন্দি অবস্থায় তাঁকে তিনটি ভিন্ন জায়গায় স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। যার মধ্যে একটি জায়গা থেকে বিমান চলাচলের আওয়াজ পেতেন তিনি। আগামী সপ্তাহেই স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে পাঠানকোট যাবেন অন্তঃসত্ত্বা রজনী।