নতুন দিল্লি, ১৪ অক্টোবর: বাংলাদেশ (Bangladesh) ও পাকিস্তান (Pakistan) সীমান্ত লাগোয়া তিন রাজ্যে ক্ষমতা ও কাজের ব্যাপ্তি বাড়ল বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স বা বিএসএফ-র (BSF)। এবার থেকে বাংলা-সহ তিন রাজ্যে ৫০ কিলোমিটার ভিতরে ঢুকে তারা তল্লাশি, গ্রেফতার ও পণ্য বাজেয়াপ্ত করতে পারবে। নতুন বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, অসম, পশ্চিমবঙ্গ এবং পঞ্জাবে বিএসএফ রাজ্য পুলিশের মতোই তল্লাশি ও গ্রেফতারের অধিকার পেয়েছে। বিএসএফ-র অফিসাররা এতদিন গ্রেফতার, বাজেয়াপ্ত এবং তল্লাশি করতে পারত, তবে সেটা ছিল আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে ১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত। এবার তারা ৫০ কিমি পর্যন্ত ভিতরে ঢুকে এই কাজ করতে পারবেন।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়েছে, ড্রোন ব্যবহার করে সীমান্তের ওপার থেকে অস্ত্র ফেলা হচ্ছে। আর সেই কারণে বিএসএফ-র ক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে। কেন্দ্রের আরও দাবি, ১০টি রাজ্য এবং দু'টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে জাতীয় সুরক্ষার সঙ্গে যুক্ত অবৈধ কার্যকলাপ রোধ করার জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আরও পড়ুন: Petrol-Diesel Price Today: মাঝে ২ দিনের বিরতি দিয়ে আজ আবার বাড়ল পেট্রল-ডিজেলের দাম
যাই হোক, কেন্দ্রের এই পদক্ষেপ রাজ্যের স্বায়ত্তশাসন নিয়ে বিতর্ক উস্কে দিয়েছে। পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চন্নি ইতিমধ্যেই এই নির্দেশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। চন্নি টুইটে লেখেন, "আন্তর্জাতিক সীমানা বরাবর বিএসএফ-কে অতিরিক্ত ক্ষমতা দেওয়ার সরকারের একতরফা সিদ্ধান্তের আমি তীব্র নিন্দা জানাই, যা যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর উপর সরাসরি আক্রমণ। আমি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে অনুরোধ করছি অবিলম্বে এই অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করুন।"
বিভিন্ন রাজ্যে বিএসএফে ক্ষমতা বিভিন্ন রকম। আগে গুজরাতে সীমান্ত থেকে ৭০ কিলোমিটার ভিতরে ঢুকে তল্লাশি চালাতে পারত বিএসএফ। সেই এলাকা কমিয়ে ৫০ কিলোমিটার করা হয়েছে। একই নিয়ম রয়েছে রাজস্থানের জন্য। এছাডা় বিএসএফ নাগাল্যান্ড, মিজোরাম, ত্রিপুরা, মণিপুর এবং লাদাখে তল্লাশি চালাতে ও গেফতার করতে পারবে। উত্তর-পূর্বের পাঁচটি রাজ্যের জন্য কোনও সীমানা নির্ধারণ করা হয়নি। জম্মু ও কাশ্মীর ও লাদাখে কোনও সীমানা নির্ধারণ করা নেই।