তৃতীয়বার বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর সরকারি কর্মচারিদের বেতন সংক্রান্ত বড়সড় সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র সরকার। জানা যাচ্ছে, জাতীয় পরিষদের সচিব গোপাল মিশ্র অষ্টম পে কমিশন (8th Pay Commission) নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব রাজীব গৌবাকে চিঠি লিখেছেন। যেখানে সরকারী কর্মী ও পেনশন হোল্ডারদের মূল বেতন, মহার্ঘ ভাতা, পেনশন সহ একাধিক সুবিধা নিয়ে পর্যালোচনা ও বৃদ্ধি করা নিয়ে আবেদন করা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে যদি এই পে কমিশন গৃহীত হয় তাহলে আগামী ১ জানুয়ারি ২০২৬-এ কার্যকর হবে।
গোপাল মিশ্র জানিয়েছেন, কোভিডের আগে থেকে মুদ্রাস্ফীতি অনেকটাই বেড়েছে কোভিড পরবর্তী সময়ে। ২০১৬-২০২৩ সাল পর্যন্ত যদি আমরা দৈনন্দিন জিনিসপত্রের খুচরো দাম ধরি তাহলে ৮০ শতাংশ মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে। সেই তুলনায় ১ জুলাই ২০২৩ পর্যন্ত ৪৬ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা সরকারী কর্মচারীদের দেওয়া হয়েছে। যা প্রকৃত মূল্যবৃদ্ধির থেকে অনেকটাই কম। অন্যদিকে ২০১৬-এর থেকে ২০২৪ পর্যন্ত কেন্দ্রে ১০০ শতাংশের অধিক আয় বেড়েছে। যার অনেকটাই আসছে জিএসটি-র মাধ্যমে। ২০২৩-এর এপ্রিল মাস পর্যন্ত ১ ট্রিলিয়ন আয় হয়েছে শুধুমাত্র জিএসটি থেকে। পাশাপাশি বিগত ১০ বছরে সরকারি কর্মীদের নিয়োগ সেভাবে হয়নি। বর্তমানে ১ মিলিয়ন শূন্যপদ রয়েছে। ফরে স্থায়ী কর্মীদের কাজের দায়িত্ব বেড়েছে। সেই কারণে এবার পে কমিশনের মাধ্যমে বেতন, ডিএ অনেকটাই বাড়ানো উচিত।
প্রসঙ্গত, প্রতি ১০ বছর অন্তর পে কমিশনের মাধ্যমে সরকারী কর্মীদের বেতন বৃদ্ধি হয়। এর আগে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের জমানাতেও বেতন বৃদ্ধি হয়েছে। এর আগে ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তে মনমোহন সিংয়ের নেতৃত্ব সপ্তম পে কমিশন হয়েছিল এবং সেটি রিপোর্ট শেষ হয়েছিল ২০১৫ সালে। পরবর্তীকালে তা কার্যকর হয় ২০১৬-এর ১ জানুয়ারিতে। ২০২০-২১ সালে মোট রাজস্বের ৭.২৯ শতাংশ খরচ হয়েছিল কর্মীদের বেতন ও ভাতার জন্য ব্যয় করে। অন্যদিকে পেনশনভোগীদের জন্য খরচ হয়েছিল মাত্র ৪ শতাংশ।