নয়াদিল্লি: নির্বাচনী বছরে যুবসমাজকে আকৃষ্ট করতে ব্যস্ত বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার (Bihar CM Nitish Kumar)। এক সপ্তাহের মধ্যে, মুখ্যমন্ত্রী যুবসমাজের জন্য দ্বিতীয় বড় ঘোষণা করেছেন। প্রথমত, তিনি স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড ঋণ সুদমুক্ত করেছেন এবং পরিশোধের সময়সীমা বাড়িয়েছেন। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী স্নাতকদের জন্য 'বিহার যুবা ভাত্তা ইয়োজনা' (Bihar Yuva Bhatta Scheme) নামে একটি নতুন পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন। এই ভাতার অধীনে রাজ্যের বেকার স্নাতক ২০ থেকে ২৫ বছর বয়সী যুবক-যুবতীদের দুই বছরের মেয়াদে প্রতি মাসে ১,০০০ টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।
মুখ্যমন্ত্রী এক্স হ্যান্ডেলে এই তথ্য শেয়ার করে লিখছেন, ‘২০০৫ সালের নভেম্বরে নতুন সরকার গঠনের পর থেকে, যত বেশি সম্ভব যুবক-যুবতীকে সরকারি চাকরি ও কর্মসংস্থান প্রদান এবং তাঁদের ক্ষমতায়ন করা আমাদের অগ্রাধিকার। আপনারা জানেন যে আগামী পাঁচ বছরে ১ কোটি যুবক-যুবতীকে সরকারি চাকরি ও কর্মসংস্থান প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী বছরগুলিতে, সরকারি ও বেসরকারি খাতে প্রচুর সংখ্যক নতুন চাকরি ও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা হবে। এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য, যুবক-যুবতীদের দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে যাতে তাঁরা কর্মসংস্থান পেতে পারে।
আমি আনন্দের সাথে আপনাকে জানাচ্ছি যে রাজ্য সরকারের ৭ নিশ্চয় কর্মসূচির অধীনে ইতিমধ্যেই চালু থাকা মুখ্যমন্ত্রীর স্বনির্ভর ভাতা প্রকল্পটি সম্প্রসারিত করা হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায়, পূর্বে ইন্টারমিডিয়েট পাশ করা যুবক-যুবতীদের জন্য প্রদত্ত স্বনির্ভর ভাতা প্রকল্পের সুবিধা কলা, বিজ্ঞান এবং বাণিজ্যে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনকারী বেকার যুবক-যুবতীদের মধ্যে সম্প্রসারিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ২০-২৫ বছর বয়সী স্নাতক যারা পড়াশোনা করছেন না এবং কর্মসংস্থান খুঁজছেন, স্ব-কর্মসংস্থান করেন না, অথবা কোনও সরকারি, বেসরকারি বা বেসরকারি ক্ষেত্রে নিযুক্ত নন, তাঁদেরও সর্বোচ্চ দুই বছর ধরে প্রতি মাসে ১,০০০ টাকা হারে মুখ্যমন্ত্রীর স্ব-সহায়তা ভাতা প্রদান করা হবে। আমি আশা করি এই যুবকরা প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ গ্রহণ এবং প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য এই সহায়তা ভাতা ব্যবহার করবেন, যার ফলে তাঁদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত হবে।
রাজ্য সরকারের এই দূরদর্শী উদ্যোগের লক্ষ্য রাজ্যের যুবকদের সর্বাধিক কর্মসংস্থানের সুযোগ প্রদান করা। এখানকার শিক্ষিত যুবকরা স্বনির্ভর, দক্ষ এবং কর্মসংস্থানযোগ্য হয়ে উঠবে, যা দেশ ও রাজ্যের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম হবে।’