কালো যাদুর অপবাদ দিয়ে এক পরিবারের পাঁচজনকে জ্যান্ত পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠল বিহারের পূর্ণিয়ার। মৃতদের মধ্যে ৩ জন মহিলা এবং ২ জন পুরুষ। পুড়ে যাওয়া দেহগুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রের খবর পূর্ণিয়ার মুফাসিল থানা এলাকার টিটগাও গ্রামে (Titgaon village) রামদেব ওরাওঁ নামে এক ব্যক্তির সন্তান অসুস্থ ছিল। ৩ দিন আগে তাঁকে ঝাড়ফুঁক করার সময় মৃত্যু হয় তার। গ্রামের লোকের সন্দেহ হয়, কালো জাদুর জন্য রামদেবের সন্তানের মৃত্যু হয়েছে। গ্রামেরই বাবুলাল ওরাওঁয়ের পরিবারকে ডাইনি অপবাদ দেয় গ্রামবাসীরা। তারপরই রবিবার রাতে হামলা চালানো হয়।ঘটনার পর থেকে এলাকা থমথমে। বেশিরভাগ বাসিন্দাই গ্রাম ছেড়ে পালিয়েছে।এখনও অবধি তিনজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। টিটগাঁও গ্রামের একজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, "ঘটনা দেখে মনে হচ্ছে গ্রামের অনেক লোক এতে জড়িত ছিল। বর্তমানে গ্রাম জনশূন্য,অনেক মানুষ এখান থেকে পালিয়ে গেছে। আমরা এই ঘটনার ন্যায়বিচার চাই।
কী বলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা-
#WATCH | Bihar | A local from Titgaon village says," It looks like many people from the village were involved in this. Currently, the village is deserted; people have fled from here. We want justice." pic.twitter.com/odLO0OL0ew
— ANI (@ANI) July 8, 2025
ওই পরিবারের একমাত্র জীবিত সদস্য ১৬ বছরের সোনু কুমার ছুটে পালিয়ে প্রাণ বাঁচায়। সেই পুলিশকে খবর দেয়। সে জানায়, গ্রামের লোকেরা সন্দেহ করছিল তার দিদিমা কাতো দেবী কালা জাদু করেন। এই অপবাদ দিয়ে রবিবার রাতে গ্রামের মোড়ল নকুল ওরাওঁয়ের নেতৃত্বে বৈঠক হয়। সেখানে প্রায় ২০০ জন উপস্থিত ছিলেন। ওই বৈঠকে কাতো দেবীর পরিবারকেও ডাকা হয়। সেখানে কাতো দেবীর কোনও বক্তব্যই মানা হয়নি। সোনু পুলিশকে জানায় প্রথমে লাঠি-সোঁটা দিয়ে মারধর করা হয় কাতো দেবীকে। এরপর পরিবারের পাঁচজনের গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। জ্যান্ত পুড়ে মৃত্যু হয় পাঁচজনের। কোনওরকমে ছুটে পালিয়ে প্রাণ বাঁচায় সোনু।