Bharat Ratna Award: আজ রাষ্ট্রপতি ভবনে ভারতরত্ন সম্মান প্রদান করবেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, চারজন মরণোত্তর ভারত সম্মানে ভূষিত হবেন (দেখুন টুইট)
Bharat Ratna 2024 Photo Credit: Twitter@ airnewsalerts

আজ রাষ্ট্রপতি ভবনে ভারতরত্ন সম্মান প্রদান করবেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী চৌধুরী চরন সিং, পিভি নরসিমা রাও, বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কর্পূরি ঠাকুর এবং বিখ্যাত বিজ্ঞানী এম.এস স্বামীনাথন মরণোত্তর এই সম্মান পাচ্ছেন। প্রাক্তন উপপ্রধানমন্ত্রী তথা প্রবীণ বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আদবানীও আজ ভারতের এই শীর্ষ অসামরিক সম্মানে ভূষিত হবেন।

কর্পুরী ঠাকুর:

১৯৭০-৭১ এবং ১৯৭৭-৭৯ সাল পর্যন্ত দুবার বিহারের ১১ তম মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন কর্পুরী ঠাকুর। ১৯৭৮ সালে, তিনি একটি যুগান্তকারী রিজার্ভেশন মডেল প্রবর্তন করেন, যা ওবিসি, অর্থনৈতিকভাবে অনগ্রসর শ্রেণী (ইবিসি), মহিলা এবং উচ্চবর্ণের মধ্যে অর্থনৈতিকভাবে অনগ্রসর শ্রেণীর জন্য নির্দিষ্ট কোটা সহ ২৬% সংরক্ষণ বরাদ্দ করে।

এমএস স্বামীনাথনঃ-

এমএস স্বামীনাথন ছিলেন 'ভারতের সবুজ বিপ্লবের জনক '। ভারতকে কৃষিতে স্বনির্ভর হতে এবং আধুনিকীকরণে সহায়তা করেছিলেন তিনি। তিনি উদ্ভিদের জাত সংরক্ষণ এবং কৃষকের অধিকার আইন,২০০১ তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন ।

পিভি নরসিমা রাওঃ-

পিভি নরসিমা রাও ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত ভারতের নবম প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী হিসাবে, পিভি নরসিমহা রাও ভারতের পররাষ্ট্র নীতি পুনর্নির্ধারণ করেন।অর্থনীতিকে বিশ্বায়নের জন্য উন্মুক্ত করে, বাণিজ্য বাধা হ্রাস করে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে বেসরকারীকরণের সূচনা করে ভারতকে এককদম এগিয়ে দিয়েছিলেন তিনি।

চৌধুরী চরণ সিংঃ-

ভারতের পঞ্চম প্রধানমন্ত্রী চৌধুরী চরণ সিং ছিলেন একজন ভারতীয় রাজনীতিবিদ এবং স্বাধীনতা সংগ্রামী ছিলেন।প্রধানমন্ত্রীত্বের পাশাপাশি উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। ১৯৫২ সালে কৃষিমন্ত্রী হিসাবে, তিনি জমিদারি প্রথা বিলুপ্ত করার জন্য উত্তর প্রদেশের নেতৃত্ব দেন।

লালকৃষ্ণ আডবানিঃ-

১৯৯৯ থেকে ২০০৪ সাল অবধি ভারতের সপ্তম উপ-প্রধানমন্ত্রী (1999-2004) এবং ১৯৮০ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে দীর্ঘতম সময়ের জন্য ভারতীয় জনতা পার্টির সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন লালকৃষ্ণ আডবানি।