Representational Image (Photo Credit: File Photo)

বেঙ্গালুরু, ১ এপ্রিল: পড়ুয়ার (Student) বাবার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে অর্থ হড়পের প্রচেষ্টা। ক্রমাগত ব্ল্যাকমইল করে ওই পড়ুয়ার বাবার কাছ থেকে অর্থ হড়পের চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় বেঙ্গালুরুর (Bengaluru) এক শিক্ষিকাকে (Teacher)। এই ঘটনায় শ্রীদেবী রুদাগি নামে বছর ২৫-এর এক তরুণীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। শ্রীদেবীর পাশাপাশি গণেশ কালে এবং সাগর নামে আরও ২ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করে বলে খবর।

জানা যায়, শ্রীদেবী, গণেশ এবং সাগর নামে এই ৩ জন সতীশ নামে (নাম পরিবর্তিত) এক ব্যক্তিকে ক্রমাগত ব্ল্যাকমেইল করে এবং নগদ ৪ লক্ষ হাতিয়ে নেয়। তবে গল্পের শেষ এখানেই শেষ নয়। সতীশ নামে ওই ব্যক্তিকে ব্ল্যাকমেইল করে আরও ২০ লক্ষ টাকা হাতানোর চেষ্টা করে ওই ৩ জন। সেই সঙ্গে সতীশকে বিভিন্ন ধরনের ছবি দেখিয়ে ওই ৩ জন হুমকি দেওয়া শুরু করে বলেও জানা যায়।

রিপোর্টে প্রকাশ, পশ্চিম বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা সতীশ একজন সেখানকার নামকরা ব্যবসায়ী। তিন সন্তান এবং স্ত্রীকে নিয়ে সতীশ পশ্চিম বেঙ্গালুরুতে বসবাস করেন। সতীশের ছোট মেয়ের স্কুলে ভর্তির সময় সেখানে শ্রীদেবী নামেএক শিক্ষিকার সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। স্কুলে শ্রীদেবীর সঙ্গে পরিচয় হওয়ার পর দুজনের বন্ধুত্ব ক্রমাগত প্রগাঢ় হয়। অন্য সিম কার্ড দিয়ে দুজন যেমন কথা বলতে শুরু করেন , তেমনি ভিডিয়ো কলও শুরু করেন তাঁরা।

শ্রীদেবীর সঙ্গে ওই ব্যক্তির সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর হলে, তাঁরা অন্য খাতে  বইতে শুরু করেন। এরপর সতীশের কাছ থেকে শ্রীদেবী ৪ লক্ষ টাকা হাতায়। এরপর ১৫ লক্ষের দাবি করে সে। ক্রমাগত টাাকার দাবি করায়, সতীশ বিরক্ত হয়ে পরিবারকে গুজরাটে পাঠিয়ে দেন। এমনকী সন্তানদেরও সেখানে পাঠিয়ে দেন। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে শ্রীদেবী সতীশের অফিসে হানা দেয় । গণেশ এবং সাগরকে নিয়ে শ্রীদেবী সতীশের কাছে যায়।

শ্রীদেবীর পরিস্থিতি ভাল নয় দেখে সতীশ শেষ পর্যন্ত পুলিশের দ্বারস্থ  হন। পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পেরে, সতীশকে ব্যক্তিগত ছবি দেখিয়ে শ্রীদেবী ব্ল্যাকমেইল শুরু  করে এবং অর্থ হড়পের চেষ্টা করে পরপর।